শেষ আপডেট: 14th March 2025 17:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বসন্ত উৎসবের (Holi 2025)জন্য রোজা ভাঙেন শেখ রহিম। বাসন্তী পুজোতে তার কাঁধে যে অনেক দায়িত্ব।শেখ রহিম আর রাজেশ মণ্ডলদের শ্রীখোলের তালে নাচ আবির খেলা জানিয়ে দেয় ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
রমজান(Ramzan) মাসে উপবাস বা রোজা রাখেন মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষজন। রমজান মাস চলছে। চলছে রোজা রাখা। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে বসন্ত উৎসব(holi festival)। গতকাল রোজা রেখেছিলেন চুঁচুড়া তোলাফটের সেখ রহিম। তাঁর পাড়ায় বাসন্তী পুজো করে যুব সংঘ ক্লাব। সেই ক্লাবের একজন সদস্য রহিম। পুজোর সময় তাঁর অনেক দায়িত্ব থাকে প্রতি বছর। একসঙ্গে প্রতিমা আনতে যাওয়া থেকে চাঁদা কাটা।
বাসন্তী পুজোর আগে হয় বসন্ত উৎসব। দোলের দিন যুবসংঘ ক্লাবের সদস্যরা প্রভাতফেরি করেন। খোল করতাল বাজিয়ে পথে নামেন। এবারও মহিলা থেকে ছোটো বাচ্চারা সবাই সেই প্রভাত ফেরিতে অংশ নেন। শুক্রবার সকাল থেকে চুঁচুড়া শহরে শুরু হয় নগর কীর্তন। সেখানে সেখ রহিম যোগ দেবেন বলে এদিন রোজা ভাঙেন। কারণ অনেকটা পথ হাঁটতে হবে, মাথার উপর চড়া রোদ। উপবাসে অসুবিধা হতে পারে তাই শুক্রবার রোজা রাখেননি। শনিবার আবার রোজা রাখবেন মাছচাষি রহিম।
রহিম বলেন, ‘‘রমজান মাস চলছে। রমজানে রোজ রোজা করি। কিন্তু আজকের দিনে রং খেলব, প্রভাত ফেরিতে বেরোবো, বসন্ত উৎসব পালন করব বলে রোজা রাখিনি। অন্যবার বসন্ত উৎসবের সময় রমজান মাস থাকে না। তাই তখন রোজা ভাঙার প্রশ্ন থাকে না।সবাই মিলেমিশে থাকি, উৎসবে সামিল হই এটাই আনন্দ।’’
যুব সংঘ ক্লাবের সম্পাদক রাজেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘জাতি ধর্মের ঊর্ধ্বে আমরা মানুষ। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। রহিম বাসন্তী পুজোর কার্যকরী কমিটির সদস্য। আমরা একসঙ্গে ঠাকুর আনি। মনটা খারাপ ছিল রমজান মাস চলছে। নিজেই বলল তাহলে আজ রোজা রাখব না। রোজা ভেঙে বসন্ত উৎসবে সামিল হয়েছে। ধর্ম নিজের জায়গায় থাকুক উৎসবে আমরা সবাই এক।’’