শেষ আপডেট: 2nd November 2024 21:43
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: আগুনে ঝলসে দুই শিশু-সহ এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নামল বৃহন্নলার ঘরে। শনিবার দিনভর কান্নার রোল উঠল সেখানে। খবর পেয়ে এদিন দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন বৃহন্নলাদের অনেকেই। তাঁরাই জানান, তাঁদের গুরুমার কাছে বড় হচ্ছিল তারা।
বৃহন্নলার ঘরে কীভাবে এল শিশুগুলি ,কোথা থেকে শিশুগুলিকে পেয়েছিলেন তাঁরা, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তবে এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাদের হারিয়ে বাকরুদ্ধ প্রান্তিক মানুষগুলি।
শুক্রবার সন্ধেয় বাজি ফাটাতে গিয়ে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় দুই শিশু-সহ এক কিশোরীর। ঘটনায় হুলস্থুল পড়ে যায় উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে একটি বাড়িতে প্রচুর বাজি মজুত ছিল। তার অদূরে ছয় ও আট বছরের দুটি শিশু এবং ১৪ বছরের এক কিশোরী বাজি ফাটাচ্ছিল। আচমকা বাজির স্ফূলিঙ্গ ওই বাড়িতে মজুত থাকা বাজির সংস্পর্শে আসে। মুহূর্তে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে যায়।
চিৎকার এবং আগুন দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই শিশু ও কিশোরীর। তিনজনের দেহের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু'টি ইঞ্জিন এবং স্থানীয় থানার পুলিশ। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের একটি দোকানেও। ভস্মীভূত হয়ে যায় বাজি মজুত থাকা ঘরটি এবং পাশের দোকান। কী কারণে বিপুল পরিমাণ বাজি ঘরের মধ্যে মজুত করে রাখা হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে সম্ভাব্য সবদিক খতিয়ে দেখা হবে।
শনিবার এলাকায় অনেকেই অভিযোগ করেন, এলাকায় কাটাতেলের রমরমা ব্যবসা রয়েছে। এই দুর্ঘটনার সঙ্গে তার কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হোক। শিশুরা যখন বাজি ফাটাচ্ছিল,তখন সেখানে বাড়ির বড়রা কেউ কেন ছিলেন না, উঠছে সেই প্রশ্নও। পুলিশ জানিয়েছে এই দুর্ঘটনার পরে উঠে আসা সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।