শেষ আপডেট: 25th March 2025 19:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বিজেপি- তৃণমূলের পর বামেরা। "হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই বেকারদের কাজ চাই " সম্প্রীতির এমন বার্তা দিয়ে বামপন্থী কৃষক,শ্রমিক,খেত মজুর সংগঠনের দেওয়াল লিখন নজরে এল সিঙ্গুরে।
বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সিটু, সারা ভারত কৃষক সভা ও সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়ন এর ডাকে ২০শে এপ্রিল বিগ্ৰেড সমাবেশ। তার প্রস্তুতিতে সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রচার অভিযান। বৈঠকের পাশাপাশি দেওয়াল লিখনও চলছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ধর্ম নিরপেক্ষতার বার্তা দিয়ে পোস্টার, দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি-তৃণমুল। এবার সেই সরণীতে নাম যুক্ত হল বামেদের। বামপন্থী কৃষক শ্রমিক ক্ষেত মজুর সংগঠনের দেওয়াল লিখনে হিন্দু মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মেহনতি মানুষের উদ্দেশে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হল।
সিঙ্গুরে ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় দেওয়াল লেখা হয়েছে, "হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই বেকারদের কাজ চাই, ফসলের মূল্য চাই, শ্রমিকদের বেতন চাই"। এই দাবিকে সামনে রেখেই আগামী ২০ এপ্রিল বিগ্ৰেড সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কিন্তু বিগ্ৰেডের সমর্থনে দেওয়াল লিখনে কেন ধর্মীয় ইস্যু যুক্ত হল ?
সারা ভারত কৃষক সভার সিঙ্গুর থানার সম্পাদক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি, হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করে মানুষকে মূল সমস্যা থেকে সরাচ্ছে। এবং উভয়েই ভোটে ফায়দা লুটছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করে কেন্দ্রে বিজেপি ও রাজ্যে তৃণমূল থাকবে একে অপরের হাত ধরাধরি করে । এবং সেই জন্যেই রাজ্যে কৃষকের ফসলের দাম নেই শ্রমিকের মজুরি নেই বেকারদের কাজ নেই, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ ও মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে, পাশাপাশি রাজ্যে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি চলছে। তাই এসব বিষয়কে সামনে রেখে , বিভাজন নয় হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে মানুষের সমস্যা তুলে ধরতে এই বিগ্ৰেড সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সিঙ্গুর ব্লক সভাপতি আনন্দমোহন ঘোষ বলেন, "বামেরা শূন্য থেকে মহাশূন্যে অবস্থান করছে। ওদের কথার কোনও মূল্য নেই। আর হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান সব ধর্মের সম্প্রীতির কথা তৃণমূল কংগ্রেস বলে।রাজ্যের মানুষের জন্য ভাবনা ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কর্মসংস্থান ওদের নেতারাই মামলা করে আটকে রেখেছে।"
বিজেপির সিঙ্গুর বিধানসভার কনভেনার মধুসূদন দাস বলেন, "বামেরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। এক টাকার ছোট কয়েনের মতো অবস্থা ওদের। চলছে, কিন্তু কেউ নিতে চাইছে না। ওরা হচ্ছে ভন্ড সেকুলার। ফেজ টুপি পড়া ধর্মগুরুর সঙ্গে জোট করে।"