শেষ আপডেট: 10th December 2024 15:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: ভাগ্যিস নজরে এসেছিল স্কুলছাত্রীর। তারই তৎপরতায় বাগনানের রাস্তা থেকে উদ্ধার হল প্রায় ৯ কেজি ওজনের একটি পিকক টার্টেল। ভারতে যা ময়ুরী কাছিম নামেই পরিচিত।
বাগনান বৈদ্যনাথপুর গ্রামের স্কুল ছাত্রী অঙ্কিতা পাঁজা। ভাত খেয়ে ব্যাগ গুছিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল পরীক্ষা দিতে। হঠাৎ জানালা দিয়ে দেখতে পায় একটি বিশাল কচ্ছপ পাশের ডোবা থেকে উঠে রাস্তা পার হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মা রীনা পাঁজাকে ডেকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে। এরপর মা-মেয়ে মিলে নিয়ে কচ্ছপটিকে তুলে নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
খবর পেয়ে অঙ্কিতাদের বাড়িতে তখন পড়শিদের ভিড়। বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ উদ্ধারের খবর পেয়ে সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত এলাকার বাসিন্দা সোনাই সামন্ত হাওড়া জেলা যৌথ পরিবেশ মঞ্চের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পরিবেশকর্মী সুমন্ত দাস ও রঘুনাথ মান্না। কিছুক্ষণ পরে পরিবেশ কর্মী চিত্রক প্রামাণিক, ঝিন্দন প্রধান ও সুপ্রকাশ আদক গ্রামে পৌঁছন। তাঁরাই বৈদ্যনাথপুর গ্রামের একটা জলাভূমিতে ময়ূরী কচ্ছপটিকে ছেড়ে দেন। একইসঙ্গে গ্রামের মানুষকে এই বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ রক্ষার বিষয়ে সচেতন করেন তাঁরা।
একই সময়ে আমতার গাজীপুর গ্রাম থেকে সামাজিক সংগঠন প্রয়াসের সদস্যরা একটি চার কেজি ওজনের ময়ূরী কচ্ছপ উদ্ধার করেন। সেটিকও পরে লাগোয়া একটি জলাশয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পরিবেশ কর্মী চিত্রক প্রামাণিক বলেন, "এই ময়ূরী কচ্ছপ বা পিকক সফটশেল টার্টেল ২০২২ ভারতীয় বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ পরিমার্জিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সংরক্ষণের আওতায়। তফসিলি ১ এর অন্তর্ভুক্ত এটি। একে শিকার করলে বা বাড়িতে আটকে রাখলে কয়েক বছরের জেল ও জরিমানা নিশ্চিত। আমাদের চারপাশের জলাভূমি নষ্ট হচ্ছে। এরফলে নষ্ট হচ্ছে এদের বাসস্থান। তাই বারবার লোকালয়ে চলে আসছে এই বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপগুলি। কচ্ছপের মাংস খাওয়ার প্রবণতাতেও এদের সংখ্যা কমছে।"