শেষ আপডেট: 10th October 2024 20:09
দ্য ওয়ার ব্যুরো, হুগলি: জেলায় দ্রষ্টব্য স্থানগুলির মধ্যে একটি ইমামবাড়া। দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের উদ্যোগে এই স্থাপত্য তৈরি হতে সময় লেগেছিল কুড়ি বছর। সব সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যা একটি দর্শনীয় স্থাপত্য। গঙ্গার পারের সেই ইমামবাড়ার পাশেই ইমামবাজার সার্বজনীন দুর্গা পুজোর আয়োজন করে। পুজোর দিনগুলোতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে এই পুজোর আয়োজন করেন। কুমোর বাড়ি থেকে প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন সব করেন একসঙ্গে।
মহম্মদ রমজান বলেন, "একসঙ্গে পুজোটা করি।খুব আনন্দ করি। আমার নিজের গাড়ি করে ঠাকুর নিয়ে আসি। আমাদের মহরমে তাজিয়া বেরোয় তখন হিন্দু ভাইরা থাকে। আমরা পাশাপাশি থাকি তাই কোনও বিভেদ দেখিনা।"
সৌমিত্র সিংহ বলেন, "জায়গাটার নাম ইমামবাড়া হলেও আমরা যে দুর্গাপুজোর আয়োজন করি তাতে হিন্দু-মুসলিম মিলিতভাবে করি। রমজান তাঁর গাড়িতে করে ঠাকুর নিয়ে আসে এক পয়সাও নেয় না। আমাদের অঞ্চলে যুবকের সংখ্যা কম।মুসলিম ভাইয়েরা নিজেদের মতো করে থাকে বলে সব ভালো ভাবে হয়ে যায়। কোনও ভেদাভেদ নেই। একসঙ্গে আমরা উৎসব পালন করি ভোগ খাওয়া প্রসাদ খাওয়া বিসর্জন দেওয়া সব একসঙ্গেই করি। আমরা ঈদ ও মহরম পালন করি একসঙ্গে।"
রমজান, সৌমিত্রদের কথায়, " ইমামবাড়া এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের বসবাস হলেও কোনদিনও অপ্রীতিকর ঘটনা শুনতে পাবেন না। আমরা মায়ের কাছে সেই প্রার্থনাই করি যাতে সম্প্রীতি বজায় থাকে। এভাবেই আমরা মিলেমিশে উৎসব পালন করতে পারি।কারণ উৎসব সবার।"