প্রতারকের বাড়ি খুঁজে চড়াও হলেন দম্পতি
শেষ আপডেট: 11th August 2024 19:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: টাকা দিলেই রেল চাকরি পাকা! এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া দিতেন। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ঠকেছেন বহু চাকরি প্রার্থী। এমনই অভিযোগ উঠল চুঁচুড়া কাপাসডাঙা থেকে এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। টাকা ফেরত পেতে অভিযুক্তের বাড়ি খুঁজে সেখানেই চড়াও হলেন প্রতারিতরা।
চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন অভিজিৎ চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছেন। কয়েকজনকে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে রেলে চাকরি দিয়েছেন।তিন মাস চাকরি করার পর বেতন না পেয়ে চাকরি প্রার্থীরা বুঝতে পারেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারনা করা হয়েছে।
ওই ব্যক্তি বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাটোয়া শাখার ধাত্রীগ্রাম বাগনাপারা বর্ধমান মেন শাখায় তালান্ডু সপ্তগ্রাম স্টেশনে বুকিং ক্লার্ক ঘোষকের চাকরির নিয়োগপত্র দিয়ে ছিলেন ওই প্রৌঢ়। প্রতারিতদের আরও অভিযোগ, মূলত রেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি পদের চাকরির জন্য কয়েক লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়।
বাগুইহাটির বাসিন্দা সুবীর দে, বেসরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়ার এজেন্সি চালান। অভিজিতের সুবীরের সঙ্গে পূর্ব পরিচয়ে রয়েছে। সেই সুবাদে অভিজিৎ তাকে বলেন, চাকরিপ্রার্থী জোগার করে দিতে। টাকা দিলেই রেলে পাকা চাকরি পেয়ে যাবেন। অভিজিৎকে ভরসা করে সুবীরও বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী জোগার করে দেন।
সুবীরের স্ত্রী মৌমিতার দাবি, তাঁদের প্রতিবেশী, আত্মীয়দের কাছ থেকে অভিজিৎ চৌধুরী টাকা নিয়েছেন। যারা প্রতারিত হয়েছেন তাঁরা এখন ওই সুবীর ও মৌমিতার কাছে টাকা ফেরত চাইছেন।
তাই রবিবার অভিজিতের বাড়িতে চুঁচুড়া কাপাসডাঙার বাড়িতে লোকজন নিয়ে হাজির হন সুবীর ও মৌমিতা। অভিজিতের বাড়ির সামনে ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "এইসব লোকের থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব।"
অভিজিতের স্ত্রী স্বপ্না চৌধুরীর দাবি, স্বামী করেছে তিনি কিছু জানেন না। তাঁর স্বামী আসানসোল গেছেন কাজে। অভিজিৎ আগে প্রাইভেট টিউশন করতেন। পরে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। ব্যবসাও রয়েছে। তবে রেলে চাকরি করেননি।
স্থানীয় সূত্রে জানাগিয়েছে, ডান্সারদের বিভিন্ন পানশালায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন এই অভিজিৎ। স্বপ্না চৌধুরী বলেন, "একদিন পুলিশ সেজে এসে বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে সুবীর দে। মাঝে লমধ্যে ফোন করে টাকা চায়।নহুমকি দেয়। আমার নিজের সংসারে টানাটানি। স্বামী রেলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছে কিনা জানি না।"
সুবীর দে বলেন, "অভিজিৎকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে ভুল করেছি।এখন টাকা চাইলে হুমকি দিচ্ছে।"
খবর পেয়ে চুঁচুড়া থানা থেকে পুলিশ আসে।প্রতারিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেয়। যদি অভিযুক্ত কোথাও খুঁজ পাওয়া যায়নি।