শেষ আপডেট: 29th July 2024 17:35
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে ঢুকে সোমবার রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গেলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়ার্ডে ঘুরে দেখতে পান প্রসূতিদের অনেকেই পড়ে রয়েছেন মেঝেতে। আবর্জনা-ভাঙা মেশিন-প্লাসটিকের বাক্স পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। তারই মধ্যে মেঝেতেই চিকিৎসা চলছে রোগীদের। নিজের মোবাইলে একের পর এক ছবি তুলে রাখলেন। কর্তৃপক্ষকে বললেন পরেরবার তিনি হাসপাতালে আসার আগে যাতে এই ছবি বদলে যায়।
সোমবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে তাঁর সংসদ এলাকার উন্নয়নে কী কী কাজ করনীয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারপরই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতর হয়ে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ। এই হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন তিনি।
প্রসূতি বিভাগে গিয়ে প্রসূতিদের পাশেই আবর্জনা- প্লাস্টিকের প্যাকেট ইত্যাদি পড়ে থাকতে দেখে নিজের মোবাইল ফোন বের করে পরপর ছবি তোলেন। হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডলকে বলেন, "সদ্যজাতরা এসএনসিইউতে রয়েছে আর মায়েরা অস্বাস্থ্যকর জায়গায় মেঝেতে শুয়ে রয়েছেন। এঁদের বেড দেওয়া যায় না?এটা আমি আশা করিনি।এতদিন কে ছিল আমার জানার দরকার নেই। এখন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসেছেন। হাসপাতালের চিত্র যেন পাল্টে যায়।হাসপাতালে যেন কুকুর- ছাগল না ঘোরে। ঝাঁ চকচকে হয়ে যায়। আমি ছবি তুলে রাখলাম। আপনাদের কী প্রয়োজন সেটা বলবেন। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের পাশে থাকবে।"
হুগলি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ানোর পর বারবারই একটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল দিদি নম্বর ওয়ানকে। এত ব্যস্ততার মধ্যে নিজের কেন্দ্রকে দেওয়ার মতো সময় পাবেন তো তিনি। এই প্রশ্নের উত্তরে বারবার রচনা জানিয়েছিলেন এলাকার মানুষের পাশে থাকতে হুগলিকেই নিজের ঘর করে নেবেন। সেই পর্বই শুরু হল বলে জানালেন অভিনেত্রী সাংসদ।