শেষ আপডেট: 11th January 2025 19:05
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বোরো চাষের জন্য ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত হল রবি মরসুমের আলু চাষ। বিঘার পর বিঘা জমি প্লাবিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা আলু চাষে।
পোলবার মহানাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মেঘসার মৌজা সহ লাগোয়া এলাকার কয়েকশো বিঘা আলুর জমি জলের তলায় চলে গেছে। জমির আল কেটে সেচ দিয়ে কোনও ভাবে সেই জল বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন চাষিরা। আলু গাছের বয়স এক মাস হয়েছে। সবে আলুর ফলন ধরা শুরু হয়েছে। এমন সময় জলে ডুবে থাকায় গাছ পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আলু চাষি কাশীনাথ সামন্ত, প্রিয়নাথ কোটাল, নীলকান্ত কোটালরা জানান, শুক্রবার রাত থেকে ডিভিসির জল আলু জমিতে ঢুকতে শুরু করে। শনিবার সকালে তাঁরা দেখেন বেশির ভাগ জমি জলের তলায়। অনেকেই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। এবার আলু চাষ কিছুটা দেরি করে হয়। বীজ সারের দাম বেশি থাকায় চাষের খরচ বেড়েছে অনেকটাই। সেই টাকা কী করে উঠবে চিন্তায় ঘুম ছুটেছে চাষিদের। তাঁরা চাইছেন আলু চাষের ক্ষতির পরিমাণ দেখে সাহায্য করুক সরকার।
বোরো ধান চাষের জল ডিভিসি জল দেয়। সেই জল না জানিয়ে ছাড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর সেই ডিভিসির জল খাল দিয়ে ঢুকে পড়েছে আলু জমিতে। চাষিরা জল আটকাতে বাধা দেওয়ার সময় পায়নি।
মহানাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শুভেন্দু দাস বলেন, "চাষিরা এসে আমাদের জানিয়েছে, তারপর আমি গিয়েছিলাম জমিতে কী পরিস্থিতি তা দেখতে। ডিভিসির ছাড়া জলে কয়েকশো বিঘে আলু জমি জলের তলায় চলে গেছে। ঋণ করে চাষিরা আলু চাষ করেছিলেন। ডিভিসি কিছু না জানিয়ে জল ছেড়ে দেওয়ায় আলু চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা।আমি বিডিওকে জানিয়েছি, এডিওকে জানিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা যাতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পায় তার ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেছি। ডিভিসি জল ছাড়ছে আমরা জানতাম না।"
পোলবা ব্লকের বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই জানান, আলুর জমি প্লাবিত হওয়ার কথা শুনেছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধানের মতো আলু চাষিদেরও শস্য বিমার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ক্ষতি হলে সেই বিমার টাকার দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে পোলবার আলু চাষিদের।