শেষ আপডেট: 26th September 2024 17:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: সন্তানের সামনে স্ত্রীকে গুলি করে খুনের ঘটনার মোটিভ জানতে অভিযু্ক্তকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। তাই ধৃত প্রসেনজিৎ বারুইকে আদালতে পেশ করে দশদিনের হেফাজত চাইল পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাকে শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ।
বুধবার সন্ধেয় কানাইপুরে নিজের ঘরে গুলিবিদ্ধ হন গৃহবধূ মৈত্রী বারুই। ঘরে সে সময় তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে ও স্বামী ছিলেন। পটকা ফাটার শব্দ পেয়ে বধুর শ্বশুর পরিমল বারুই তাদের ঘরে ঢোকেন। দেখেন গলা দিয়ে রক্ত ঝরছে বৌমার।তড়িঘড়ি কানাইপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বধুকে।
এই ঘটনায় উত্তরপাড়া থানার পুলিশ বধুর স্বামী প্রসেনজিৎকে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল।গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করেন যুবক। বছর সাতেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মৈত্রীকে।তাদের পাঁচ বছরের ছেলে আছে। সেই ছেলেই সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বধূর।
পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্ত প্রথমে দাবি করেছিল আগ্নেয়াস্ত্রটি ঘটনার দিনই পুকুর থেকে পেয়েছিল। পরে আবার দাবি করে মাস দুয়েক আগে ন'পাড়ায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে অস্ত্র পায়। লোকাল মেড ২ এমএম পিস্তলটি বাড়িতেই ছিল।গতকাল সেটি বের করে নাড়াচাড়া করার সময় গুলি ছুটে যায়।
যদিও পুলিশ তার দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে। পিস্তল কোথা থেকে পেল, সেটা জানার পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল, বিবাহবহির্ভূত কোনও সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই মামলায় সেই মোবাইল থেকে সূত্র মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
মৃতার শ্বশুর পরিমল বারুইয়ের দাবি, তার ছেলে বৌমার সুখের সংসার ছিল। সেই দাবির সত্যতাও খুঁজে দেখছে পুলিশ।