ব্যবসায়ীকে অপহরণ
শেষ আপডেট: 27th January 2025 18:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনার কিনারা করলো বুদবুদ থানার পুলিশ। ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বুদবুদ থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসিএলের কর্মী ও দুজন বিটেক পাশ বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত জানাতে বুদবুদ থানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ( পূর্ব ) অভিষেক গুপ্তা। উপস্থিত ছিলেন এসিপি (কাঁকসা) সুমনকুমার জয়সওয়াল, বুদবুদ থানার ওসি মনোজিৎ ধারা সহ অন্য পুলিশ অফিসাররা।
ডিসিপি ( পূর্ব) জানিয়েছেন, গত ১৩ জানুয়ারি বুদবুদ থানার পুলিশ একটি অপহরণের অভিযোগ পায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ১০ জানুয়ারি ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক বা পানাগড় বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে কাঁকসার বিরুডিহার বাসিন্দা জয়ন্ত গরাই নামে ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে ১০ লক্ষ টাকায় রফা হয়। ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও ব্যবসায়ীকে মারধর করে ছেড়ে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে জানান, ১০ জানুয়ারি তাকে ৫/৬ জন দুষ্কৃতী অপহরণ করেছিল। প্রচণ্ড মারধর করা হয় তাকে। তবে কারা তাকে সেদিন অপহরণ করেছিল সেই বিষয়ে তিনি সঠিক তথ্য পুলিশকে দিতে পারেননি। বুদবুদ থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৩ দিন পরে ব্যবসায়ী অপহরণের কিনারা করে।
অভিষেক গুপ্তা বলেন, "বিভিন্নভাবে তদন্ত করে বেশ কিছু সূত্র পাওয়ার পরে রবিবার ৫ জনকে এই অপহরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় একটি মোটরসাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়ি। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, দু-রাউন্ড গুলি, দুটি ম্যাগজিন, একটি ধারালো অস্ত্র, ১ লক্ষ ১২ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন। ধৃতদের নাম অভিজিৎ চক্রবর্তী, সুপ্রিয় খাওয়াস, সঞ্জীব বিশ্বাস, সোহম চট্টোপাধ্যায় ও বিমলেশ কুমার ঠাকুর। এদের বাড়ি দুর্গাপুর ও কাঁকসা এলাকায়। এই ঘটনার সাথে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তা জানতে ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে। ধৃতদের মধ্যে একজন ইসিএলের কর্মী ও দুজন বিটেক পাস করা যুবক রয়েছে।" সোমবার ধৃত ৫ জনকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হয়।