শেষ আপডেট: 14th March 2025 18:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: দোলের দিন রাধাকৃষ্ণের পুজোই দস্তুর। কিন্তু শ্রীরামপুরের দে পরিবারের চল ছিল মহিষমর্দিনী পুজোর। সেই রীতির বদল হয়নি এখনও। এখনও শ্রীরামপুরের দে পরিবার দোলের দিন মেতে ওঠেন মহিষমর্দিনী পুজোয়।
জানা যায়, শ্রীরামপুরের জমিদার ছিল দে পরিবার। এই পরিবারের দুই সদস্য পুলিনবিহারী দে ও নগেন্দ্রনাথ দে ১২১২ বঙ্গাব্দে শ্রীরামপুরের পঞ্চানন তলায় দোলের দিন মহিষমর্দিনী পুজার প্রচলন করেন। মহিষমর্দিনী আদতে দুর্গারই আরেক রূপ। তবে এখানে কার্তিক-গণেশ-লক্ষী-সরস্বতীর বদলে দুর্গার দুপাশে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া। দুর্গাপুজোর মতোই রীতি মেনে চারদিন ধরে পুজো হয়।
কালের নিয়মে দে পরিবারের পুজো বারোয়ারি রূপ পায়। ১৯৭০ সাল থেকে স্থানীয় শ্রীরামপুর টাউন ক্লাবের পরিচালনায় এই ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন পুজো হয়ে আসছে। পুজো উপলক্ষে এলাকার মানুষকে অষ্টমীর দিন পংক্তি ভোজ খাওয়ানো হয়।
পুজোর তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগে যাত্রা পালা ,কবিগান হত। এখন অবশ্য অনুষ্ঠানের ধরন বদলে গেছে।
দোলের দিন সকালে দেবীর পায়ে আবির মাখিয়ে এলাকার মানুষ নিজেদের মধ্যে আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এই প্রথাও চলে আসছে বছরের পর বছর।