শেষ আপডেট: 22nd November 2024 14:12
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: জনসংযোগে বেরিয়ে মেজাজ হারালেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা আবাসের তালিকা করেছেন, সেই সরকারি কর্মচারীরা বেআইনি কাজ করছেন। তিনি বলেন, "যারা পাবার যোগ্য তাঁদের নাম বাদ দিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন হবে।"
গত লোকসভা ভোটে কেন চুঁচুড়া বিধানসভা এলাকায় হারতে হয়েছে তার কারণ খুঁজতে মানুষের দুয়ারে পৌঁছচ্ছেন বিধায়ক। পাঁচদিনের জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। আজ তার তৃতীয় দিন। দক্ষিণায়ণ এলাকায় জনসংযোগে সকাল থেকে মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন। রাস্তা- নিকাশি- জল- আবাস নিয়ে কিছু অভিযোগ শোনেন। তবে গত দু-দিনের তুলনায় তা নিতান্ত কম। তাই সকাল থেকে মেজাজ ফুরফুরে ছিল। এক গৃহস্থকে বলেন, 'একদিন আসব বিনা চিনির চা খেতে, খরচও কম।'
এরপর আরও একটি পাড়ায় রাস্তার সমস্যা দেখতে যান। সেখানে কোদালিয়া ১ পঞ্চায়েতের প্রধান সুকান্ত ঘোষ বিধায়ককে জানান,আবাসের জন্য যে নামের তালিকা বিধায়ক দিয়েছিলেন তার সার্ভে হচ্ছে না। আবাস সার্ভের সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে চড়া সুরে বলেন ,"কে তুমি হরিদাস পাল। যারা ঘর পাবার যোগ্য তারা ঘর না পেলে চাকরি করা সমস্যা হবে।" এরপর চুঁচুড়ার মগড়ার বিডিওকে ফোন করেন বিধায়ক। কেন তার দেওয়া নামের সার্ভে হচ্ছে না জানতে চান। বিডিও তাকে জানান, যে তালিকা আছে সেগুলোই সার্ভে হচ্ছে। নতুন নাম হবে না। কেউ আবেদন করলে সেটা দেখা হবে।
বিধায়ক তাঁকে জানান, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যারা গরীব ঘর পাবার যোগ্য তাদের বাদ দেওয়া যাবে না। অথচ সরকারি কর্মীরা গন্ডগোল করছে।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,"যারা আবাস যোজনার সার্ভে করছে তারা সরকারি লোক। এই সরকারি লোকগুলোই সরকারকে ডোবাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যারা যোগ্য তারা যাতে সবাই ঘর পায়। তারমানে যারা এনকোয়ারি করেছে তারা দু নম্বরি করেছে। যারা প্রকৃত পাওয়ার যোগ্য তাদের নাম বাদ দিয়ে রাম শ্যাম যদু মধুর নাম ঢোকাচ্ছে। আমি জেলা শাসককে বলব, এমন কর্মীদের আগে সাসপেন্ড করা দরকার।কেন ন্যায্য লোকের নাম আসেনি,এই সরকারি কর্মচারীরাই ডোবাচ্ছে।আমি ঘুরছি আমি নিজে দেখছি অনেকেরই ঘর থাকার অযোগ্য। আমি পাঁচজনের নাম পাঠিয়েছি বিডিওর কাছে। এখন বিডিও বলছে লিস্টে নাম না থাকলে করা মুশকিল। লিস্টে নাম না থাকলে সেই দোষ কার। গরিব মানুষগুলো আবাসের ঘর না পেলে সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন হবে।"
শালীনতার সীমা টপকে এটাও বলেন, "আমি নিজে ঘুরে দেখছি যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাদের নাম নেই। তাহলে অবশ্যই সরকারি কর্মীরা যারা এনকোয়ারি করার লোক তারা ঠিকমতো কাজ করছে না। কোদালিয়া পঞ্চায়েতে যারা কাজ করেছে, তারা বেআইনি করেছে।এরা সব কো-অর্ডিনেশন কমিটির মাল।সিপিএম এর মাল।"