শেষ আপডেট: 16th January 2025 14:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় এসে পৌঁছল কেন্দ্রীয় গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। গঙ্গা ভাঙন পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন তারা।
গুপ্তিপাড়া ফেরিঘাট লাগোয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা, বলাগড়ের বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস, জেলা পরিষদ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
গুপ্তিপাড়া, বলাগড়, জিরাট,ভবানীপুর,মিলনগড়, চরকৃষ্ণবাটি, খয়রামারি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ। বাড়ি, চাষের জমি, স্কুল, রাস্তা, জলের তলায় চলে গেছে। ভাঙন রোধ না হলে আরও ক্ষতির আশঙ্কা। শুধু বলাগড় ব্লক নয়, প্রায় গোটা হুগলি জেলাতেই ভাঙন একটা বড় সমস্যা। হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা ভাঙনের প্রসঙ্গটি লোকসভায় উত্থাপন করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার লঞ্চে করে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনের প্রতিনিধিরা।
জিএফসিসির ডেপুটি ডিরেক্টর রঞ্জিত কুমার, ও দুই অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর দীপক কুমার ও রোশন কুমার পাটনা থেকে পরিদর্শনে আসেন। রঞ্জিত কুমার বলেন, "আমরা গঙ্গার ভাঙন দেখতে এসেছি। সাংসদ এটা নিয়ে বলেছিলেন। আমাদের দফতরে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাই চেয়ারম্যানের নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি। এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে একটা রিপোর্ট তৈরি করব।"
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,"আমি যখন প্রচারে এসেছিলাম তখনই দেখেছিলাম বিশাল এলাকা জুড়ে গঙ্গার ভাঙন। এটা একটা বড় সমস্যা। গ্রামের মানুষ খুবই সমস্যায় রয়েছেন। আমি কথা দিয়েছিলাম যদি আমি সাংসদ হই তাহলে কিছু করার চেষ্টা করব। লোকসভায় আওয়াজ তুলব। এত তাড়াতাড়ি সাড়া পেয়েছি, তাই ধন্যবাদ জানাই দিল্লিকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে। আমি চেষ্টা করছি, দেখা যাক কি হয়।"
রাজ্য সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানান, বড় কাজ। পরিকল্পনা করে করতে হবে।