মহিলার অশালীন ছবি তুলে গ্রেফতার, গ্রাফিক্স- শুভ্র শর্ভিন
শেষ আপডেট: 17th January 2025 16:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: মহিলার অশালীন ছবি তুলেছেন, এমনই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে কোন্নগর স্টেশন লাগোয়া সুপার মার্কেটের সামনে এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতাকে আটক করল পুলিশ। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতেই পাকড়াও করা হয় তাঁকে। ওই যুবকের নাম রানা ইন্দ্র। কোন্নগর পুরসভার প্রাক্তন সিপিআইএম চেয়ারম্যান বাসুদেব ইন্দ্রর ছেলে।
ওই যুবকের বিরুদ্ধে এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল বলে জানান মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও এই ধরনের কাজ করতেন তিনি। প্রায়ই মদ্যপ অবস্থায় তার দোকানে যারা ঝালমুড়ি খেতে আসেন সেই সব মহিলাদের অশালীন ছবি তোলেন মোবাইলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সারে আটটা নাগাদ কোন্নগর সুপার মার্কেট এলাকায় দিদির সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক মহিলা। লুকিয়ে সেই মহিলার পিছন থেকে ছবি তুলছিলেন অভিযুক্ত। দেখতে পেয়ে মহিলার দিদি তার বোনকে জানায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবতী দৌড়ে গিয়ে তার মোবাইল কেড়ে নেয়। তার হাত ধরে টানাটানি করে বলেও অভিযোগ।এরপরেই খবর দেওয়া হয় কোন্নগর ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় অভিযুক্তকে। কোন্নগর পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান স্বপন দাস বলেন, "মহিলাদের অসম্মান করে সিপিএম। আবার মহিলাদের সম্মানের জন্য রাত জেগে মিছিল করে।"
সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী লক্ষ্মীকান্ত অধিকারী বলেন, "সুপার মার্কেট এলাকাতেই রানার ঝালমুড়ির দোকান। মার্কেটে দুই মহিলা এসেছিলেন আর রানা তাদের অশ্লীল ছবি তুলেছে। রানা আগেও মদ্যপ অবস্থায় এসব কাজ করেছে। তাকে বারণ করাও হয়েছে অনেকবার কিন্তু সে কারও কথা শোনে না।
অভিযোগকারী মহিলা বলেন, "আমরা প্রায়ই এই মার্কেটে আসি আর ঝালমুড়ির দোকান থেকে মুড়ি খাই। এদিন দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিলাম। রানা একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ দিদি আমাকে বলে দেখ রানা তোর ছবি তুলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলার প্রতিবাদ করি। তখন রানা জানায় মহিলাদের বিভিন্ন ছবি তুলতে তার ভালো লাগে। তখন আমি রানার থেকে ফোন কেড়ে নিলে রানা আমার হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। আমি ভয়ে চিৎকার শুরু করে দিই। তখন স্থানীয়রা এসে রানাকে ধরে ফেলে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে রানাকে নিয়ে যায়।"
সিপিআইএমের হুগলি জেলা কমিটির সদস্য অর্ণব দাস বলেন, "এই যুবকের সঙ্গে আমাদের পার্টির কোনও যোগ নেই।তিনি কোনওদিনই আমাদের পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। যদি কেউ দোষ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। ওর বাবা আমাদের বর্ষীয়ান নেতা। বাবা নেতা হলেও ছেলের সঙ্গে কোনও দলের কোনও সম্পর্ক নেই।"
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলা কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে এলাকায় ঝামেলা সৃষ্টির জন্য ওই যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে।