শেষ আপডেট: 16th December 2024 19:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ একাধিক দাবিতে আন্দুল কলেজ চল অভিযান করল এসএফআই এর হাওড়া জেলা কমিটি। এই কর্মসূচি ঘিরে আন্দুলের প্রভু জগবন্ধু কলেজের গেটে উত্তেজনা দেখা দেয়। এই অভিযান ঘিরে
সোমবার সকাল থেকেই কলেজ গেটে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
অভিযোগ, আন্দুল স্টেশন থেকে এসএফআই সমর্থকরা মিছিল করে এসে কলেজে ঢুকে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে আন্দোলনকারীদের বাধা দেয় পুলিশ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা এবং ধস্তাধস্তি। এসএফআই নেত্রী দিপ্সিতা ধর জানান, এসএফআই কর্মী স্বপন কোলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁরা কলেজে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা এবং পুলিশ তাঁদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। তাঁরা চাইছেন কলেজে নির্বাচন হোক। তিনি বলেন, "যারা স্বপন কোলেকে খুন করেছিল তারা এখন বাইরে ঘুরছে। যারা স্বপন কোলেকে খুন করেছিল তারাই আরজি করের ডাক্তারি ছাত্রীকে খুন করেছে। এরা যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এই দুই আক্রান্তের পরিবার বিচার পাবে না।"
এদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এসএফআই কর্মীরা তাদের মারধর করেছে এবং গেটের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি সহ ফেস্টুন এবং পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে। স্বপন কোলের মৃত্যু দিনে কলেজে এসে গুন্ডামি করেছে। এ ব্যাপারে তারা পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হবেন।
রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা হাওড়া জেলা পরিষদের সদস্য তুষারকান্তি ঘোষ বলেন, "কলেজে স্মারকলিপি দিতে কলেজের কোনও ছাত্র-ছাত্রী আসেননি। এসএফআই আজকে বহিরাগতদের নিয়ে আসে। ওরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে। আমরা সংযত থাকায় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি আমরা উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছি।"
২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর, জগবন্ধু কলেজে মনোনয়ন নিয়ে এফএফআই ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু হয়েছিল কলেজের বি-কম প্রথম বর্ষের ছাত্র এসএফআই সদস্য স্বপন কোলের। ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তুষার ঘোষ-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ এদের গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের অভাবে ১৩ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় হাওড়া জেলা আদালত।