শেষ আপডেট: 1st September 2024 12:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: আরজি কর কাণ্ডের আবহ একের পর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ। বীরভূমের ইলামবাজার হাসপাতালের পর হাওড়ায়। নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ল্যাবকর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরপরেই রাজ্যের নারী নিরাপত্তার তলানিতে ঠেকেছে বলেই প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার বুকে ব্যথা নিয়ে এক ১২ বছরের কিশোরীকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার। শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই কিশোরীকে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য ল্যাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ তখনই সেখানের এক টেকনিশিয়ান তাঁর শ্লীলতাহানি করে। ল্যাব থেকে বেরনোর পরে কিশোরী তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। মেয়ে সঙ্গে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটেছে শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন কিশোরীর পরিবারে সদস্যরা। তারা হাসপাতালে ভেতরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। গোটা হাসপাতালে হইচই শুরু হয়। সেখানে থাকা হাসপাতালে অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রাও প্রতিবাদ শুরু করেন।
হাওড়া থানার পুলিশকে ডেকে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে অভিযুক্ত ল্যাবকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় নিয়ে গিয়ে তাকে জেরা করা হয়। জানা গেছে, ওই ল্যাবকর্মী চুক্তির ভিত্তিতে হাসপাতালে কর্মরত।
রবিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের সুপার। তাঁর ঘর ঘেরাও করে ডিওয়াইএফআই। সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন দীপ্সিতা ধর। তাঁর দাবি, কেন ল্যাব মহিলা নার্স থাকবে না? কেন কিশোরীর পরিবারে কোনও মহিলাকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হল না? সে বিষয়ে তাঁরা সুপারের কাছে উত্তর চান। সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনিও প্রথমে জানতে পারেননি। তবে পরে অভিযোগ পেয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, হাসপাতালে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
সিএমওএইচ কিশলয় দত্ত জানিয়েছেন, হাসপাতালের সুপার এই ঘটনায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ল্যাব কর্মীকে শোকজ়ও করা হয়েছে।