শেষ আপডেট: 30th July 2024 19:09
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: গত বুধবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল নীলকান্ত সাহাকে। আজ মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা বাবা ও সৎ মাকে খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা দিলেন নীলকান্তকে।
হুগলির মুখ্য সরকারি আইনজীবী শংকর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মামলার রায় শোনানোর সময় আদালত উল্লেখ করেন, একজন শিশুকে ছোটবেলা থেকে সর্বস্ব দিয়ে বড় করেন মা বাবা। তারপরেও ঠান্ডা মাথায় নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে তাঁদের। অপরাধীকে কঠিনতম সাজা দিয়ে সমাজের কাছে বার্তা দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি জানান, বলাগরের জিরাট স্টেশন রোডে রামকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন চন্দ্রকান্ত এবং অঞ্জনা সাহা। চন্দ্রকান্তবাবুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ছিলেন অঞ্জনা। চন্দ্রকান্তবাবুর পুত্র নীলকান্ত অন্যত্র থাকতেন। ২০২২ সালের ২৩ অগস্ট
সন্ধেবেলা বাবা-মায়ের খোঁজে ওই ভাড়া বাড়িতে যায়। সেইসময় বাজারে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ দম্পতি। বাবা-মাকে না পেয়ে সামনের সোনার দোকানে অপেক্ষা করতে থাকে নীলকান্ত।
মুখ্য সরকারি আইনজীবী বলেন, "কিছুক্ষণ পরেই বাজার করে একটা ভারী ব্যাগ নিয়ে দুজনে ঘরে ফেরেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উপর চড়াও হয় নীলকান্ত। একটি ধারালো ছুরি দিয়ে দুজনের গলার নলি কেটে সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রথমে বাড়িওয়ালা পরে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু হয় চন্দ্রকান্তবাবুর। পরের দিন মারা যান অঞ্জনাদেবী।"
এই খুনের ঘটনায় আদালতে মোট ২১ জন সাক্ষী দেন। ঘটনাস্থলের পাশে যে গয়নার দোকানে নীলকান্ত অপেক্ষা করছিল সেই গয়নার দোকানের সিসি টিভি ফুটেজও অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করতে বিশেষ সাহায্য করেছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী। বিচারপ্রক্রিয়া শেষের পর গত বুধবার নীলকান্তকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এদিন ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। অভিযুক্তের আইনজীবী সুদীপ চৌধুরী জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন তাঁরা।