রীতা দত্ত
শেষ আপডেট: 13th August 2024 14:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: জুতো হাতে তেড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলর! এমন ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে চুঁচুড়া পুরসভার এলাকায়। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য ওয়াল।
স্থানীয় সূত্রে থেকে জানাগিয়েছে, গত ১১ তারিখ দুর্গাপুজোর কমিটির মিটিং নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এদিন সন্ধেবেলায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওলাইচণ্ডীতলা এলাকার দুর্গাপুজো মিটিং ছিল। তখন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল রীতা দত্ত হাতে জুতো হাতে কমিটির সদস্যদের উপর তেড়ে যান বলে অভিযোগ। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় সেখানে। এই ঘটনার পরে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কমিটির সদস্যরা। রীতাও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চুঁচুড়ার ওলাইচণ্ডী মন্দিরের পাশে রয়েছে অজয় সংঘ ক্লাব। ক্লাবের পাশেই মাঠ রয়েছে। সেই মাঠেই দুর্গাপুজো হয়। এবছর ৪৭ বছরে পা রাখতে চলেছে এই পুজো। ট্রাস্টি বোর্ড মন্দিরটি পরিচালনা করলেও দুর্গাপুজোর আয়োজন করে অন্য কমিটি। ক্লাবের সদস্যরাই ট্রাস্টি ও পুজো কমিটিতে রয়েছেন। এদিনের মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কাউন্সিলর রীতা দত্তের স্বামী স্বপন দাস ও তাঁর ছেলে। সেই সময়ে স্বপন, দুর্গাপুজোর প্রতিমা কেনার জন্য কেন ট্রাস্টি বোর্ড ৫০ টাকা দেবে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন রীতা। ক্লাব সদস্যদের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ ঝগড়া চলে। সেই সময়ে হাতে চটি নিয়ে ক্লাব সদস্য়দের দিকে তেড়ে যান অভিযুক্ত ওই তৃণমূল কাউন্সিল।
পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি, দুর্গাপুজো কমিটির ছেলেরাই মন্দিরের সব কাজে ছুটে আসেন। মেলায় অনেকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। একই ব্যক্তি মন্দির ও পুজো কমিটির সদস্য। কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন দত্ত পুজো কমিটিতে ঢুকতে চাইছেন। পুজোর কমিটিতে নিজেদের দখলে রাখতে চাইছেন। অথচ তিনি ৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবুও এখানে ক্ষমতা কায়েম করতে চান।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর রীতা দত্তের পাল্টা দাবি, তিনি ২৫ বছর ধরে এখানে রয়েছেন। মন্দিরের সঙ্গে তাঁর স্বামী ও ছেলে জড়িত রয়েছেন। তাঁর কার্যালয়টি মন্দিরের কাছে রয়েছে। সেদিন মিটিংয়ে তাঁর স্বামী ও ছেলে গিয়েছিলেন। তিনি যাননি। কার্যালয়ের বসে কাজ করছিলেন। আচমকাই তিনি বাইরে চিৎকার চেঁচামেচি হচ্ছে বলে শুনতে পান। তাঁর অভিযোগ, বাইরে বেরিয়ে তিনি দেখেন কমিটির সদস্যরা তাঁর ছেলে ও স্বামীকে ধরে মারধর করছে। ফলে তিনি বাঁচাতে শুরু গিয়েছিলেন। কোন অপরাধে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে মারা হল তারই প্রতিবাদ করেছিলেন তিনি।
তাঁর কথায়, "মন্দিরে কমিটির সদস্যরা এলাকায় লুঠরাজ চালাচ্ছে। এবিষয়ে তাঁর কাছে বহু অভিযোগ ধরা পড়েছে। মন্দিরে মানতের জন্য ১০ হাজার, ভোগে জন্য ৫০০ টাকা নেওয়া হয়। মন্দিরে পুজো দেওয়া ও ভোগ খাওয়ার অধিকার এলাকার সাধারণ মানুষের রয়েছে। কিন্তু টাকা না দিলে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়। এসবের প্রতিবাদ করায় ক্লাবের সদস্যরা আমার স্বামীর উপর চড়াও হয়। আবার থানায় যায়। তাই আমরাও থানায় গিয়েছি।"