শেষ আপডেট: 19th January 2025 13:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেহই প্রাণ কাড়ল। অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে ভেবে ভোরবেলা নিজের বাড়িতেই স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে থানায় পৌঁছে গেলেন স্বামী। আরামবাগের সালেপুরের দাস পাড়া এলাকার ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই থাকেন রঞ্জিত দাস। তাঁর বিরুদ্ধেই স্ত্রী ঋতু দাসকে (৩৫) খুনের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রের খবর, রঞ্জিতের সঙ্গে বিয়ের আগেও ঋতুর একবার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর একটি কন্যাসন্তানও আছে। কিন্তু কন্যা সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে পালিয়ে রঞ্জিতকে বিয়ে করেন। তাও প্রায় ১৫ বছর আগের ঘটনা। দুই সন্তানও রয়েছে রঞ্জিত-ঋতুর।
রঞ্জিতের পরিবার সূত্রে খবর, ঋতু পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা। যা নিয়ে রঞ্জিতের সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। রঞ্জিতের মা জানান, অশান্তি লেগেই থাকত। রোববার ভোরবেলা বৌমাকে তাঁর ছেলেই মেরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
থানায় গিয়ে গোটা স্ত্রীকে মেরে ফেলার কথা জানানোর পর সরজমিনে গোটা বাড়ি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। ম্রিত্যুর আসল কারণ জানা যাবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে।
মৃতার বাবা গুরুপদ নন্দী মেয়ের পরকীয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, তাঁর সঙ্গে মেয়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। থানা থেকে ফোন করাতেই তিনি ছুটে এসেছেন। আজই আরামবাগ মহকুমা আদালতে তোলা হবে অভিযুক্তকে, জানিয়েছে পুলিশ।