হাবরায় ধর্ষিতাকে খুন! অসহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করল পুলিশ
শেষ আপডেট: 14th October 2024 19:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: হাবরায় ধর্ষণের শিকার নির্যাতিতার দেহ পাওয়া যাওয়ার পরে খুনের অভিযোগ করেছিলেন মৃতের দাদা। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও এনেছিলেন। কিন্তু মৃতের পরিবারের এই অভিযোগ অস্বীকার করলেন বারাসাতের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি। তাঁর দাবি, অভিযোগ পাওয়ার দু ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কথায়, "মৃতার পরিবার থানায় প্রথমে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানিয়েছিল। সেই মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরেই থানা থেকে একটি বিশেষ টিম অভিযুক্তদের বাড়িতে যায়। কিন্তু সেখানে অভিযুক্তরা উপস্থিত ছিলেন না। পরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশের টিম আরও একবার ঘটনাস্থলে যায় এবং দুঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।"
পুলিশ কর্তার বক্তব্য, "পুলিশের বিরুদ্ধে যে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠে আসছে তা সঠিক নয়। পুলিশ মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয়েছিল। সকলেই জানেন যে ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর বিষয়ে অভিযুক্তকে ধরতে লিখিত অভিযোগের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মৃতের পরিবারের তরফ থেকে দেরি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।"
রবিবার ধর্ষণের শিকার এক 'নির্যাতিতার' দেহ পাওয়া যায় দোতলার ঘর থেকে। এই ঘটনার পরে কলকাতা পুলিশে কর্মরত এক গাড়িচালক, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা, সহ নির্যাতিতার স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মৃতার দাদার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মৃতার দাদার অভিযোগ ছিল দেড় মাস আগে পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা বিশ্বাসের স্বামী জয়ন্ত তাঁর বোনকে ধর্ষণ করে। জয়ন্ত কলকাতা পুলিশে কর্মরত। নিজের প্রভাব খাটিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। নির্যাতিতাকে খুনের হুমকি দিচ্ছিল। এরপরেই বাড়ি থেকে নির্যাতিতার দেহ মেলে। এতে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর বোনকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর স্বামী। এই চক্রান্তে নির্যাতিতার স্বামীও জড়িত। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও মৃতার ছেলের অভিযোগ, "ধর্ষণের ঘটনা ঘটনার পর থেকে তার মা অবসাদে ভুগছিল। সে আত্মহত্যা করেছে। বাবা কোনও হাত নেই।"
এই ঘটনাকে নিয়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার বিকেলে হাবড়া থানার সামনে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে বিজেপি নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিজেপি নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। তাঁর দাবি, " শুধু দোষীদের নয়, যে আইও ( ইনভেসটিগেশন অফিসার) দোষীদের কুকর্ম ঢাকতে সাহায্য করেছে, তারও শাস্তি চাই।"