প্যান্ডেলে জ্যান্ত উট! আইনি জটে উদ্যোক্তারা
শেষ আপডেট: 21st October 2024 14:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিজেদের সেরার তালিকায় রাখতে থিম নিয়ে রেষারেষিতে নেমে পড়েন বেশিরভাগ পুজোর কমিটির উদ্যোক্তা। এবার থিমের দৌঁড়ে সেরা হতে গিয়ে বিপাকে পড়ল হুগলি একটি পুজো কমিটি। বৈদ্যবাটির নার্সারি রোডে বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পশুপ্রেমী কেপ ফাউন্ডেশন। মণ্ডপে উট রাখা নিয়ে শুরু হয় জটিলতা। যদিও শেওড়াফুলি থানায় অভিযোগ দায়ের হলে উটের মালিককে গ্রেফতার করা হয়। তবে পশুপ্রেমী ওই সংগঠনের দাবি, পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি পুলিশ। তাই হুগলি আদালতে পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে থেকে জানা গিয়েছে, এবার বৈদ্যবাটির ওই বারোয়ারি পুজোর থিম ছিল মহেঞ্জোদারো সভ্যতা। ইতিহাসকে পুঙ্খানুপঙ্খভাবে তুলে কোনও ত্রুটি রাখতে চাননি পুজো উদ্যোক্তারা। তাই ওড়িশা থেকে একটি উটকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল। থিমের অংশ হিসাবে পুজোর কয়েকদিন ওই উটটিকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এই ঘটনাই পশুপ্রেমীদের নজরে এসেছিল। তারপরে পশুপ্রেমী সংস্থা কেপ ফাউন্ডেশন ওই বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে শ্যাওড়াফুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সংস্থার দাবি, পুজোর উদ্যোক্তারা থিমের দৌঁড়ে গা ভাসাতে গিয়ে পশু আইন লঙ্ঘন করে ফেলেছেন।
ওই পশুপ্রেমী সংস্থার অভিযোগ, ঘটনাটির দিকে তাদের চোখ পড়ে অনেকদিন আগেই। সপ্তমীর দিন তারা শেওড়াফুলি থানার অভিযোগ দায়ের করে। তারপরেই উটের মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু উদ্যোক্তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে হুগলি জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি উটের মালিককে এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেয় আদালত। জানা গিয়েছে, দশমীর পর উটটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অ্যানিমাল ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, তারা উট রেখে কোনও ব্যবসা করেননি। তাই যতদূর আইনি লড়াই লড়তে হয়, তারা লড়বেন।
ভারতীয় আইন অনুযায়ী উট ‘ডোমেস্টিক অ্যানিমাল’ এর আওতায় পড়ে। প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট (১৯৬০), পারফর্মিং অ্যানিম্যালস রুলস (১৯৭৩) এবং ট্রান্সপোর্ট অফ অ্যানিম্যালস রুলস (১৯৭৮) অনুযায়ী, উটকে কোনও বিনোদনমূলক কাজে ব্যবহার করা যায় না।