শেষ আপডেট: 11th March 2025 17:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: চার করা ছিল আগে থেকেই, সেখানেই ছিপ ফেলে বসেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মাছ ঠোক্কর না দেওয়ায় আরও দু জায়গায় চার ফেলেন দলের কর্মীরা। পাশের একটি পুকুরেও চার ফেলা হয়। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ছিপ ফেলে বসে থেকেও উঠছিল না একটিও মাছ। অবশেষে ছিপে উঠল পুঁটি (Fishing)।
দলের এক কর্মীর ছিপে রূপচাঁদা মাছ খেলিয়ে তুলে রণে ভঙ্গ দেন দিলীপ। পান্ডুয়ার তিন্নায় হুগলি (Hoogly) জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ। সেখানেই বসেছিল মাছ ধরার আসর। নারকোল পচানী,একাঙ্গি, খোলভাজা জমিয়ে চার করা হয়েছিল। যাতে মাছ না ফসকায়। পিঁপড়ের ডিম পাউরুটির টোপ ঘি বাটারে ডুবিয়ে হুইল ছিপে মাছ ধরতে বসেছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু একটা পুঁটিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাঁকে। পরে তিনি বললেন, ছাব্বিশের আগে বড় মাছ ধরার প্র্যাকটিস করলেন।
তাপসী মণ্ডলের তৃণমূল যোগ প্রসঙ্গও এল অনিবার্যভাবে। দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, নির্বাচন এলে একটু অদল বদল হয়। দলবদল এখন পেশা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপবাবু বলেন, "গতবার বহু মানুষ আমাদের সঙ্গে এসেছিলেন।তাদেরকে আমরা টিকিটও দিয়েছি। কেউ জিতেছেন কেউ জেতেননি। অনেকে আবার চলে গিয়েছিলেন। তাঁরা ভাবছেন কী জানি বিজেপি জিততে পারবে কিনা। বিজেপির সেফ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের না, ভারতবর্ষের রাজনৈতিক দলগুলোতে দলবদলের রাজনীতি চলে। রাজনীতি এখন পেশা হয়ে গেছে। সবাই ভবিষ্যৎ ভাবছেন। নীতি আদর্শটা সেকেন্ডারি হয়ে গেছে। আমাদেরকেও সেই পরিবেশের মধ্যেই রাজনীতি করতে হচ্ছে।"
তৃণমূলের হুগলি জেলা সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ পান্ডুয়ায় এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ একটি পুঁটি মাছ ধরেছেন।এতেই বোঝা যায় বিজেপি ভালো চার করতে পারছে না। কোনও মাছও ধরতে পারছে না। বরং যারা আছে তারাও জাল ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। গতকালই একজন বিধায়ক তৃণমূলে চলে এসেছেন। সময়ের অপেক্ষা তৃণমূল অফিসে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ এসে ধরা দেবে। নির্বাচনের দিন ঘোষণা বাকি।"