প্রতীকী জঞ্জাল সাফাই শুরু করেন বিধায়ক ও চেয়ারম্যান
শেষ আপডেট: 20th December 2024 16:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: তিন কোটি টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তা দিয়ে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দু'মাসের বেতন দেওয়া হবে। পুরসভার অচলাবস্থা নিয়ে বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। রাজ্য সরকারের এই টাকা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছে। পরে তা শোধ করতে হবে। পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারি মাসে দেওয়া হবে। সেটা পুরসভাকেই দিতে হবে। তার জন্য পুরসভার আয় বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধির সঙ্গে আজ বৈঠক করে একথা জানান বিধায়ক।
বিধায়ক আরো বলেন, "হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ পুরসভার আয় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকার সংস্থান করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছিল। অস্থায়ী কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছিলেন। তাদের ব্য়াপারে আমরা সহমর্মী। তাদেরও সংসার আছে। কিন্তু জেলা সদর শহর এভাবে আবর্জনায় ভরে থাকতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস ফোন করে সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। তিন কোটি টাকা রাজ্য সরকার দিয়েছে যা দিয়ে দু মাসের বেতন কর্মচারীদের দেওয়া হবে।"
চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, "পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা আমরা পাইনি। এখন একটা ফান্ডের টাকা আর একটা ফান্ডে ব্যবহার করা যায় না। পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাই বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে, তিনি দু মাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আগামী মাসের বেতনের ব্যবস্থা পুরসভাকেই করতে হবে তার জন্য আমরা আলোচনা করছি কীভাবে আয় বাড়ানো যায়।"
আন্দোলনকারীদের পক্ষে রাধেশ্যাম শঙ্খ বনিক বলেন, "আমরা দাবি করেছিলাম আমাদের দু'মাসের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। বিধায়ক বলেছেন দিয়ে দেওয়া হবে। আন্দোলনকারী শ্রমিক কর্মচারীরা আজ থেকেই কাজ শুরু করবেন। সামনেই বড়দিনের উৎসব। ব্যান্ডেল চার্চে বহু মানুষ আসেন। তাই শহর অপরিচ্ছন্ন থাকুক সেটা আমরা চাই না।"
পুরসভার গেটে শ্রমিক কর্মচারীদের অবস্থান মঞ্চে এসে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলেন চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক।তারপরই প্রতীকী জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শুরু করেন বিধায়ক ও চেয়ারম্যান। সাফাই কর্মীরাও নর্দমা পরিষ্কার ও জঞ্জাল তোলার কাজ শুরু করে দেন।