শেষ আপডেট: 7th September 2024 18:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: চন্দননগর স্ট্যান্ডে রঙ দিয়ে জাস্টিস ফর আরজি কর লিখেছিলেন প্রতিবাদীরা। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে স্লোগানও লিখেছিলেন। চন্দনগরের ঐতিহ্যশালী স্ট্যান্ডকে তা কালিমালিপ্ত করেছিল বলেই মনে করে চন্দননগর পুরসভা। তাই সেই লেখা মুছে দেয়। আর এই নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
গত ১৪ অগস্ট প্রথম রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ওইদিন থেকে একাধিকবার জাস্টিস চেয়ে চন্দননগরে পথে নামেন সাধারণ মানুষ। সামিল হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরাও। গত ৪ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকদের ডাকে চন্দননগর স্ট্যান্ডে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন বহু মানুষ। রাতে স্ট্যান্ডে পাথর বাঁধানো ফুটপাতে 'জাস্টিস ফর আরজি কর'- সহ একাধিক স্লোগান লেখা হয়। অভিযোগ, সেই সব স্লোগান মুছে দেয় চন্দননগর পুরসভা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এই ঘটনা রাজ্য ও দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চলছেই। সেই আন্দোলনকে এভাবে দমানোর চেষ্টা চলছে। তবে আন্দোলন থামবে না। আবারও ৯ তারিখ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। এলাকার বাসিন্দা সৌরদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, "একটা মেয়ে সিস্টেমের কোরাপশনকে দেখিয়ে দিয়ে গেছে। আমরা লিখেছিলাম 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। শাসক দল তাই ভয় পেয়ে গেছে। ভয় পাব না আমরা। আবার লিখব।"
চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগারওয়াল বলেন, "চন্দননগরের স্ট্যান্ড আমাদের গর্ব। চন্দননগর হল বিপ্লবীদের শহর, আন্দোলনের শহর, গণতন্ত্রের শহর। অনেক আন্দোলন এর আগে হয়েছে। কিন্তু চন্দননগর স্ট্যান্ডকে কেউ কালিমা লিপ্ত করেনি। কিছু ছেলেমেয়ে অতি উৎসাহী হয়ে হয়তো এটা করে ফেলেছে। এর দায় কেউ নেয়নি। তাই পুরনিগম অপেক্ষা করে এই লেখা মুছে দেয়। পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকতে পারে। এটাই গণতন্ত্র। বিচার আমরাও চাইছি আমরাও মিছিল করেছি। সাধারণ মানুষের একটা আবেগ রয়েছে। সকলেই দোষীর শাস্তি চাইছে। আমাদেরও একই দাবি আছে। চন্দননগরের অনেক ঐতিহ্য আছে তার মধ্যে চন্দননগর স্ট্যান্ড আমাদের চোখের মণি। এটাকে কলুষিত হতে দিতে পারি না আমরা।"