শেষ আপডেট: 5th December 2024 22:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিল ৬ বছরের নিখিল। টিভি দেখছিল। মা ফিরে এসে দেখেন ছেলের গায়ে কম্বল চাপা। ভেবেছিলেন ঘুমোচ্ছে। কিন্তু দিদি ফিরে এসে গায়ে হাত দিতেই বোঝেন মারা গেছে ভাই।
চন্দননগরের কুণ্ডুঘাটের হাড়হিম করা ঘটনায় চাঞ্চল্য। মৃত শিশুর পরিবারের দাবি ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে ডাকাতরা। আলমারি খোলা, টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে বলেও দাবি।
যদিও ডাকাতদের হাতে সন্তানের খুনের তত্ত্ব খারিজ করল শিশুর দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। চন্দননগরে শিশুর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের প্রমাণ মেলেনি। তদন্তে ডাকাতির অভিযোগেরও সত্যতা মেলেনি কোনও। শুধু তা-ই নয়, মায়ের কথাতেও অসঙ্গতি রয়েছে বলেই ইঙ্গিত চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার (সিপি) অমিত পি জাভালগির।
প্রসঙ্গত, বুধবার নিখিলের বাবা কাজে গেছিলেন। শিশুর দিদিকে স্কুল থেকে আনতে যান মা। পরিবারের দাবি, সেই সময়ই টেলিভিশনে কার্টুন দেখছিল নিখিল। মা ভেবেছিলেন ছেলে ঘুমোচ্ছে। দিদিই বুঝতে পারে ভাই আর বেঁচে নেই।
নিখিলের মায়ের দাবি সেই সময় আলমারি ভাঙা ছিল। টাকা-গয়না লুঠ হয়েছে। ডাকাতি করতে এসে শিশুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। কীভাবে মৃত্যু, জানতে আজ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হবে।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে দেখেছে, ছ'বছরের নিখিলের গায়ে একটিও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কেবল দেহ কম্বল দিয়ে ঢাকা ছিল। সেক্ষেত্রে শ্বাসরোধ করে খুনের সম্ভাবনাই দেখছে পুলিশ।
নিখিলের মা এদিন বলেন, 'ভুল আমারই, আমি ঘরের হ্যাজবল্টটা বাইরে দিয়ে টেনে যাইনি। ফিরে এসে দেখি কম্বল মুড়ি দেওয়া ছিল। তারপর দেখা যায় হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে ছেলের'।