শেষ আপডেট: 25th September 2024 14:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বাপের বাড়ি যাওয়ার পথে বৌদিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। ধরা পড়ে অবশ্য বৌদির খোঁজ নিতে ভোলেনি সে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে পোলবার আলিনগরের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা পানমণি তাঁর বোন রানু হাঁসদাকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। আলিনগর পোলবা রোডের পাশের একটি ক্লাবে হাঁসুয়ায় শান দিয়ে অপেক্ষা করছিল অনিল।হঠাৎ করেই বৌদির উপর ঝঁপিয়ে পরে সে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান পানমনি। এলাকার লোকজন ছুটে আসতেই পালিয়ে যায় সে। ওই বধূকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে পোলবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, অভিযুক্ত অনিল একটি বাড়ি তৈরি করছিল। তাতে বাধা দেন পানমণি। এছাড়া অনিলের দাদা সুনীলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। সেই মৃত্যুর জন্য বৌদিকে দায়ী করে রাগ পুষে রেখেছিল সে। এদিন পরিকল্পনামাফিক ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে বৌদিকে কুপিয়ে মারে সে।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবদের সময় বৌদি কেমন আছে, তাও জানতে চায় অনিল। খুনে ব্যবহৃত হাঁসুয়াটি উদ্ধার করা হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃতার বোন রানু বলেন, ‘‘দিদির ঘরের দেওয়াল ঘেঁসে পাঁচিল তুলছিল অনিল। বারণ করায় সে ঝগড়া করে। আমরা বাপের বাড়ি যাচ্ছিলাম। হাঁসুয়া নিয়ে ক্লাবের সামনে ছিল। দিদিকে কুপিয়ে খুন করে অনিল।’’