শেষ আপডেট: 9th July 2024 19:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: সরকারি জমি দখল মুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে কাউকেই যে ছেড়ে কথা বলা হবে না তা বোঝাতে কাক মেরে ঝুলিয়ে রাখার কথাও বলেছিলেন। সেই কাক মারতে গিয়েই এবার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কায় বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সে কথাই শোনালেন তিনি।
অভিযোগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডে পর্যটন দফতরের আট একর জমির তিন একর জবরদখল হয়ে গেছে। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত পূর্বতন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামী ওই সরকারি জমিতে গরীব মানুষদের বসতে দেন। বর্তমানে তিনশো কুড়িজন বসবাস করেন ওই জমিতে। অভিযোগ, পুরসভা তাদের থেকে অকুপাই ট্যাক্স নিয়ে জল রাস্তা বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করে দেয়। কোর্ট পেপারে লিখিয়ে নেয় পুরসভা চাইলে তাদের তুলে দিতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে বলার পর হুগলি জেলা প্রশাসন এমন দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমির খোঁজ শুরু করে। তখনই বাঁশবেড়িয়াতে এই আট একর জমির হদিশ পাওয়া যায়। জেলাশাসকের নির্দেশ মতো সেই জমির মাপজোখ করা হয়। পর্যটন দফতরের বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। তিন একর জমিতে বসবাসকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয় এক মাসের মধ্যে উঠে যেতে হবে।
পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কাক মেরে টাঙিয়ে দিতে যাতে অন্য কাক ভয় পায়।সেই কাক মারতে গিয়ে আমার প্রাণ সংশয় হতে পারে। এরআগে পুর বোর্ডের বেনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় আমাকে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। যারা সেই ঘটনায় জেলে ছিল তারা জামিন পেয়েছে।"
পর্যটন দফতরের জমি যখন দখল হয়েছে সে সময় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আদিত্য নিয়োগী। তিনি বলেন, "তখন আমার কথা বোর্ড শোনেনি। এখন ওই বাসিন্দাদের দিয়ে বলানো হচ্ছে ভাইস চেয়ারম্যান বসিয়েছিল। যা সর্বৈব মিথ্যা।"
ওই এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার করা হয়েছিল প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে। সেই কমিউনিটি সেন্টার বর্তমান চেয়ারম্যান উদ্বোধন করেছিলেন। আদিত্য নিয়োগী বলেন, "সরকারি টাকা খরচ হয়েছিল তাই উদ্বোধন করেছিলাম।
আমাকে খুনের চেষ্টা থেকে অনেক কিছু হয়েছে তাই ভয় পাই না।" দলেরই কাউন্সিলররা তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। সে বিষয়ে চেয়ারম্যানের দাবি, "কয়েকজন কাউন্সিলর সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দলকে বলেছি।"