শেষ আপডেট: 1st October 2024 15:24
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: তন্ত্র সাধনার নাম করে এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে এক তান্ত্রিককে ফাঁসির সাজা দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে শিশুর দিদিমাকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে। আরামবাগ মহকুমার খানাকুলের রাধাবল্লভপুর গ্ৰামে। সুশীলা মাঝির আর এক মেয়ে রোগে ভুগছিলেন। মেয়ের রোগ সারাতে ওই এলাকার এক তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিতের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুশীলা। ওই তান্ত্রিক সুশীলাকে প্রস্তাব দেয়, যদি কোন শিশুকে নরবলি দেওয়া হয় তাহলে তার মেয়ে রোগ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এই সব শুনে সুশীলা তখন নিজের নাতনিকে ওই তান্ত্রিকের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর ওই শিশুকন্যাকে তন্ত্র সাধনার নাম করে হাত বেঁধে এবং মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে খুন করে এলাকারই ঘন্টু সিং এর বাড়ির পাশে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেয়। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে শিশু কন্যার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করে, কোথাও না পেয়ে খানাকুল থানার দ্বারস্থ হন । তদন্তে নেমে খানাকুল থানার পুলিশ সেপটিক ট্র্যাঙ্ক থেকে শিশু কন্যার দেহ উদ্ধার করেন।
এরপরেই নানা সাক্ষ্য প্রমাণ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তান্ত্রিক দম্পতি মুরারি পন্ডিত ও তার স্ত্রী সাগরিকা পন্ডিতকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় শিশুকন্যার দিদিমাকেও। সেই মামলা চলতে থাকে আরামবাগ মহকুমা আদালতে। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক কৃষাণকুমার আগরওয়াল মুরারির স্ত্রী সাগরিকাকে ফাঁসির সাজা দেন। দিদিমা সুশীলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেন। চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি জেল হেফাজতে থাকাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তান্ত্রিক মুরারি পণ্ডিত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে মৃত শিশুকন্যার পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।