শেষ আপডেট: 6th December 2024 19:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: বছরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে দেওয়া হয় কুকুর, বানর, বিড়াল ও শেয়ালে কামরানোর ভ্যাকসিন। গত ১০ দিন ধরে সেই অ্যান্টি ব়্যাবিস ভ্যাকসিনই মিলছে না জেলার হাসপাতালগুলোতে। ফলে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
বাইরে থেকে ভ্য়াকসিন কিনে জেলা হাসপাতালে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা চললেও গ্রামীণ হাসপাতালগুলোর পরিস্থিতি বেশ খারাপ। ফলে কুকুর বিড়াল কামড়ালে তাদের জেলা হাসপাতালে এসেই ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। এমনকি নৈহাটি হালিশহর ভাটপাড়া সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষও হুগলি ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। যদিও মাঝে একদিন ভ্যাকসিন না পেয়ে জেলা হাসপাতাল থেকেও ফিরতে হয়েছে অনেককে।
চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে আসা সুখী রায়, সবিতা চক্রবর্তীরা বলেন, "কুকুরে কামড়েছিল। মগরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথম ডোজ দিয়েছিল। তারপর ৬ তারিখ দ্বিতীয় ডোজ নিতে মগরা হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে বলে দেয় জেলা হাসপাতালে গিয়ে ভ্যাকসিন নিতে। ওই হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। তাই বাধ্য হয়ে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন নিচ্ছি। এখানেও অনেক ভিড়। কাছাকাছি মগরা বা পোলবা হাসপাতালে পেলে সুবিধা হতো।"
হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্কমৌলি কর জানান, গত ১০ দিন ধরে এআরভির সমস্যা রয়েছে জেলায়। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোকে ল্যাবরেটরির ছাড়পত্র পেতে হয়। সেটা না পাওয়ায় দেরি হচ্ছে। তাই ব্লক হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন নেই। তিনি বলেন, "জেলার দুটি বড় হাসপাতাল চুঁচুড়া এবং শ্রীরামপুর ওয়ালসে পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে তা তুলনায় কম। আগামী সপ্তাহের বুধ বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজে দু একদিন দেরি হলেও অসুবিধা হয় না। তবে কুকুর কামড়ালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নিলে ভাল।"