শেষ আপডেট: 14th October 2024 16:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: সপ্তমীর ভোররাতে থেকে নিখোঁজ বাড়িরকর্তা। থানা-পুলিশ করেও তাঁর খোঁজ মেলেনি। সোমবার বাড়ির কাছের ইটভাটার পাশের খাল থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে রহস্য ঘনিয়েছে। নিখোঁজের পরিবারের দাবি, এই দেহ তাঁদের বাড়ির সদস্যের। কিন্তু পুলিশ মর্গে রাখা দেহ তাঁরা সনাক্ত করতে পারেনি। ফলে দেহটি আদৌ কার? তাই নিয়ে ধন্দে দেখা দিয়েছে। মৃতের পরিচয় জানতে চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপাড়ার মাখলা এলাকা থেকে বিহারি দাস (৫৯) নামে এক সব্জি বিক্রেতা সপ্তমীর ভোর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ব্যক্তির পরিবারের দাবি, বিহারি নিখোঁজ হওয়ার আগে শৌচকর্ম করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তারপরে ফেরেননি। গোটা পুজো বিহারিকে হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাঁরা।
সোমবার সকালে বাড়ির কিছুটা দূরে থাকা মাখলা ইটভাটার পাশের খাল থেকে এক ব্যক্তির বিকৃত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই নিখোঁজ সব্জি বিক্রেতার পরিবারের দাবি, ওই দেহ বিহারির। অথচ পুলিশ দেহ সনাক্ত করার জন্য আত্মীয়দের ডেকে পাঠালে, তাঁরা সেটি চিহ্নিত করতে পারেননি।
নিখোঁজের মেয়ে ও স্ত্রীর দাবি, ওই দেহ বিহারির। তাঁকে খুন করে খালে ফেলে দিয়েছে এলাকার এক যুবক শিভব পাঠাক। তাঁদের অভিযোগ, গত দেড় মাস আগে নিখোঁজের ছোটো মেয়েকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পালিয়ে গেছিলেন শিভম। পরে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিলেন বিহারি। এরপর থেকে শিভম বিহারিকে প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকে। সপ্তমীর বিহারি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই উদ্বেগে কাটাচ্ছিল পরিবারের। এলাকা থেকে পচাগলা দেহ উদ্ধার হলে তাঁদের দাবি, বিহারিকে খুন করে খালে ফেলে দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করেছে শিভব। যদিও এই ঘটনার কথা মানতে নারাজ অভিযুক্ত। তাঁর দাবি, সব্জি বিক্রেতার ছোটো মেয়ের সঙ্গে প্রেম ছিল তাঁর। পরে তাঁরা পালিয়ে যান। বিহারি জোর করে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। তাই ওই পরিবারের সঙ্গে শিভমের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তবে তিনি খুন করেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে, যে সনাক্ত করা কঠিন। নিখোঁজ ওই সব্জি বিক্রেতার পরিবারও দেহ সঠিক ভাবে সনাক্ত করতে পারেনি। ফলে ওই দেহটি যে সব্জি বিক্রেতারই, তা এখনই নিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পরে মৃতের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।