শেষ আপডেট: 13th November 2024 17:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: মঙ্গলবার সকালে রিষড়ার বাগখালে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালানো হয়। এই ঘটনায় রঞ্জন যাদব নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃতকে আজ পাঠানো হয় শ্রীরামপুর আদালতে।
উত্তরপাড়া থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে রীতিমতো গোঁফ পাকাতে পাকাতে অভিযুক্ত রঞ্জন দাবি করল সে তৃণমূল কর্মী। শামসুদ্দিন তার মাকে মারধর করেছিল এক বছর আগে। সেই রাগে গুলি করেছে। তার বাবা এক সময় শামসুদ্দিনের গাড়ি চালাত। আদালতের পথে অভিযুক্তের এমন স্বীকারোক্তিতে হইচই পড়ে যায়। রাজনৈতিক টানাপড়েনও শুরু হয়।
শামসুদ্দিনের ভাই মহম্মদ নসরত বলেন, "ওর মাথায় হাত আছে তৃণমূলের। এই ঘটনার ঠিক মতো তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।" ব্যবসায়ীর বন্ধু আফতাব আলম বলেন, "আগে বজরঙ দল করত অভিযুক্ত। গত বছর ডিসেম্বর মাসে মারামারি করে জেল খাটে। নিশ্চই কেউ ওর পিছনে আছে, না হলে আগ্নেয়াস্ত্র পেল কীভাবে।"
বিজেপি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, "তৃণমূল এইসব সমাজ বিরোধীদের আশ্রয় দেয়। ভোটে রিগিং করার জন্য এই ধরনের লোকেদের দরকার।" অন্যদিকে সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল যুব সভাপতি
শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "এইসব কথা যারা হেরে যায় তারা বলে। আমাদের এখানে কিছুদিন আগে নির্বাচন হয়েছে এই অভিযোগ কেউ করতে পারেনি। অভিযুক্ত তৃণমূল করে বলে যে দাবি করেছে সেটা সর্বৈব মিথ্যা।এই ধরনের সমাজ বিরোধীদের সাথে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি অভিযুক্ত বজরং দলের সদস্য।যে বজরং দল করে সে আবার তৃণমূল করতে পারে নাকি? এসব বিজেপির সাজানো গল্প।"
মঙ্গলবার সকালে অফিস যাওয়ার পথে রিষড়ার বাগখালে এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন পরিবহণ ব্যবসায়ী শামসুদ্দিন আনসারি। অভিযোগ, সবার চোখের সামনেই তার মাথায় গুলি করে রঞ্জন যাদব। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই ব্যবসায়ীকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতার মল্লিকবাজারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। কলকাতার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হলেও এখনও সংকট কাটেনি ওই ব্যবসায়ীর।