শেষ আপডেট: 16th October 2024 16:51
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, হুগলি: চিকিৎসার গাফিলতিতে ফের রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। এবার চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। মৃত যুবকের নাম দীপক চৌধুরী (৩৪)। তিনি ভদ্রেশ্বর থানার তেলিনিপাড়ার বাসিন্দা।
পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার বুকে ব্যথা নিয়ে চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন দীপক। জরুরি বিভাগে থাকা কর্তব্যরত ডাক্তারবাবু তাঁকে পরীক্ষা করেন। একটি ইনঞ্জেকশন বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বুধবার ফের বুকে ব্যথা অনুভব করেন দীপক। পরিবারের লোকজন তাঁকে ফের চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আউটডোরের কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা করার পর ওষুধ লিখে দেন। যুবকের দিদি চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। অভিযোগ, ভাইকে বুকের ব্যথায় কষ্ট পেতে থেকে, ওই মহিলা ডাক্তারবাবুকে ভাইকে ভর্তি নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মহিলার কথায় কান দেননি কর্তব্যরত ডাক্তারবাবু। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে দীপক। তাকে ফের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরিবারের অভিযোগ, "বারে বারে তাঁরা চিকিৎসককে রোগীকে ভর্তি নেওয়ার আবেদন জানিয়ে গেছেন। কিন্তু কর্তব্যরত ডাক্তার তাতে সায়ে দেননি। বুধবারেও রোগীকে ভর্তি নেওয়া হল না। হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করালে এমন ঘটনা ঘটত না।"
কর্তব্যরত ডাক্তার কুন্তল সাহা এপ্রসঙ্গে বলেন, "মঙ্গলবার কী হয়েছে বলতে পারব না। বুধবার রোগী হেঁটে আমার কাছে এসেছিল। যতটুকু চিকিৎসার প্রয়োজন, ততটুকুই আমরা করেছি। এর আগেও তাকে টিবির পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিল। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। তাই রিপোর্ট নিয়ে আসার কথা বলেছিলাম। কিন্তু হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই রোগী। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি।"
মৃতের দিদি রীনা চৌধুরী বলেন, "হাসপাতালে ভর্তি করলে হয়ত ভাইটা আরও কয়েক দিন বেঁচে যেত। আমার ভাইয়ের মতো আর কেউ যেন এভাবে মারা না যায়। এটা হাসপাতালের দেখা উচিত।"