Date : 18th May, 2025 | Call 1800 452 567 | info@thewall.in
বিরাট আনব্লক করতেই গললেন রাহুল, বললেন, 'আপনি অসাধারণ মানুষ ও ভারতের গর্ব'বিশ্বকে অপারেশন সিঁদুরের গুরুত্ব বোঝাবে ভারত, শশী-সহ ৭ জনের প্রতিনিধি দলের কাদের কোথায় পাঠাল কেন্দ্র'হঠাৎ করে এসে চুমু দিয়ে দিল...' শুটিং সেটে সহ-অভিনেতার 'আস্পর্ধা' দেখে রেগে যান রেখা‘ফাইনাল ইডেন থেকে সরিয়ে দেওয়া এতই সোজা নাকি?’ আইপিএলের ভেন্যু-বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ'আমি তোমায় না পেলে...' প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চাইল যুবক, রাজি না হতেই খুনের চেষ্টাসন্ধ্যা রায়ের এক ফোনেই রাখী পেলেন 'আমার বস', রাখীকে রানাঘাট থেকে তুলে এনেছিলেন সন্ধ্যাইSashi Tharoor: শশী, মানস, মুকুল মিলে গেলেন, পরিণতিও কি এক হবে!কর্নেল সোফিয়ার ব্রিফিংকে 'লোকদেখানো' মন্তব্য করে গ্রেফতার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক‘কিছু ছেড়ে যাওয়াকে আমাদের দেশে অনেক সময় সম্মান করা হয় না’, বিরাটের অবসরকে ‘মেনে নেওয়া’র আর্জি জানালেন বাঙ্গারSSC: লাঠি-লাথির পর এবার চাকরিহারা শিক্ষকদের ডেকে পাঠাল পুলিশ, নজরে মোট ১৫ জন
College teacher convicted

নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে শ্রীরামপুর কলেজের এক অধ্যাপকের ২০ বছরের জেল

পকসো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় অধ্যাপক প্রতাপ দিগলকে। বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতা।

নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে শ্রীরামপুর কলেজের এক অধ্যাপকের ২০ বছরের জেল

শ্রীরামপুর মহকুমা আদালত

শেষ আপডেট: 20 July 2024 17:00

দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে ২০ বছরের জেল হল শ্রীরামপুর কলেজের এক অধ্যাপকের। পকসো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় অধ্যাপক প্রতাপ দিগলকে। বিচার পেয়ে খুশি নির্যাতিতা। অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।

শ্রীরামপুর কলেজের থিওলজিকাল বিভাগের প্রধান ছিলেন প্রতাপ দিগল। তিনি উড়িষ্যার বেরহামপুরে বাসিন্দা। কলেজের স্টাফ কোয়ার্টার ম্যাক হাউসে থাকতেন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেখানেই নাবালিকা এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরেই শ্রীরামপুর মহিলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ওই নাবালিকাকে। পকসো আইনে শুরু হয় মামলা।

প্রতাপ দিগল বিচারাধীন বন্দি থাকা অবস্থায় মামলার চার্জশিট হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুনানির পর শুক্রবার
শ্রীরামপুর আদালতের প্রথম অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট পকসো কোর্টের বিচারক মনোজকুমার রাই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। শনিবার ২০ বছরের সাজা দেওয়া হল তাঁকে।

সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, "ওই অধ্যাপক একটি এনজিও তৈরি করেছিলেন। ম্যাক হাউসে দুঃস্থ মেয়েদের রেখে পড়াশোনা শেখাতেন। নির্যাতিতা ওই নাবালিকা ২০২২ সালের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ম্যাক হাউসে গিয়েছিল। কয়েকদিন সেখানে থাকার পরেই তার উপর যৌন নির্যাতন শুরু হয়। আদালত অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং মোট ষাট হাজার টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও সাত মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়।
নির্যাতিতাকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।একজন শিক্ষক ছাত্রীর সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা যেন আর কেউ না করে তারজন্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে আদালত।"

এই রায়ে খুশি নির্যাতিতা। তিনি বলেন, "এই দিনটার জন্য আড়াই বছর ধরে অপেক্ষা করেছি। পড়ানোর জন্য নিয়ে এসে  আমার যে ক্ষতি করেছে তা যেন আর কারও না হয়।"

তবে অভিযুক্তের আইনজীবী অরুণ আগরওয়াল জানান, মিথ্যে সাজানো মামলা। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন তাঁরা।


ভিডিও স্টোরি