ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 26 April 2025 13:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সামান্য বৃষ্টিতে ভাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহর। কারণ, ভৌগলিক দিক থেকে এলাকাটি গামলার মতো। জল ঢুকলেও তা নিষ্কাশনের রাস্তা নেই বললেই চলে। হাওড়ার (Howrah) বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের অবস্থা ঘাটালের চেয়েও খারাপ। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় হাঁটু জল (water suffering)। পরিস্থিতির জন্য পুরসভা, প্রশাসনকেই দায়ী করেন বাসিন্দারা।
জমা জলের প্রতিবাদে অতীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধও করেছেন বাসিন্দারা। অবশেষে সেই সমস্যার সমাধান হতে চলেছে। হাওড়া পুরসভা এলাকায় জমা জল দ্রুত সরানোর জন্য এতদিন ৯টি পাম্পিং স্টেশন ছিল। এবার আরও দশটি পাম্পিং স্টেশন (pumping station) তৈরির কাজ চলছে। মে মাসের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষর।
সেক্ষেত্রে ভারী বৃষ্টিতে এলাকায় জল দাঁড়ালেও তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না, পাম্পিং স্টেশনের সাহায্যে জমা জল দ্রুত নামানো যাবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।
নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে হাওড়াবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কোনও প্ল্যানিং ছাড়াই যততত্র বসতি গড়ে উঠেছে। পুরসভাও এ ব্যাপারে ভ্রূক্ষেপ করেনি। এমনকী নালা থাকলেও তা নিয়মিত সংস্কার করা হয় না।
পুরসভা সূত্রের খবর, সমস্যার সমাধানে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কারে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। ওই টাকাতেই নতুন করে ১০টি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও নিকাশি সংস্কারে আরও একাধিক কাজ করা হচ্ছে।
বাসিন্দাদের মতে, সমগ্র হাওড়া পুরসভা এলাকাতেই বর্ষাকালে জল যন্ত্রণা চরম আকার নেয়। এর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন শিবপুর, উত্তর ও দক্ষিণ হাওড়ার বাসিন্দারার। টিকিয়াপাড়া, সালকিয়া, দক্ষিণ হাওড়ার বি গার্ডেন লেন প্রভৃতি এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রীতিমতো বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সমস্যার সমাধানে নতুন করে ১০টি পাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে টিকিয়াপাড়া ও বেলগাছিয়ায় একটি করে, দক্ষিণ হাওড়ায় দু’টি এবং শিবপুর ও উত্তর হাওড়ায় তিনটি করে পাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলে এবারের বর্ষায় শহরের বাসিন্দাদের আর জল যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে হবে না বলেই দাবি পুর কর্তৃপক্ষর।