শেষ আপডেট: 4 January 2024 07:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও সিঙ্গুরের জমিহারাদের এখনও কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল না। জমি ফেরতের বিষয়টিও কেন এখনও সম্পন্ন করা হয়নি। এ ব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান কী?
সিঙ্গুরের জমিহারাদের দায়ের করা মামলায় বৃহস্পতিবার রাজ্যের কাছে কৈফিয়ত চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ ব্যাপারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে।
২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা মোটরসকে ১ হাজার একর কৃষি জমি দিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। বহু ফসলি কৃষি জমিতে শিল্প স্থাপনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছিলেন বাংলার তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে জমি রক্ষা কমিটি গড়ে আন্দোলনে নামেন সিঙ্গুরের চাষিরা। এরই মাঝে ২০১১ সালে পালাবদল ঘটে।
এদিকে সিঙ্গুরের পরিবর্তে নিজেদের কারখানাকে গুজরাতে নিয়ে যায় টাটা গোষ্ঠী। শিল্পের জন্য অধিগৃহীত জমি ফের পুনরাবস্থায় ফেরানো এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন চাষিরা। আদালতের তরফে অবিলম্বে চাষিদের ক্ষতিপূরণ এবং জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মামলাকারীদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশের পর বেশ কয়েক বছর অতিক্রান্ত। এখনও জমি বা ক্ষতিপূরণের টাকা কিছুই পাননি তাঁরা। এরই সুরাহা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাষিরা। আদালত ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যের কাছে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর থেকে কারখানা গোটানোর জন্য রাজ্যকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আরব্রিটাল ট্রাইবুনালে মামলা করেছিল টাটাগোষ্ঠী। গত বছরের ৩০ অক্টোবর এ ব্যাপারে ট্রাইবুনাল জানিয়ে দিয়েছে, টাটা গোষ্ঠীকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই টাকার উপর ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। ২০১৬ সাল থেকে ইতিমধ্যে ৭ বছর অতিক্রান্ত। এই সাত বছরে সরল সুদের হার ১১ শতাংশ হলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১৩৫৫ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ততক্ষণ এই সুদে গুনে যেতে হবে।