শেষ আপডেট: 18th January 2025 09:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার রাতে বান্দ্রায় অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার ঘটনার দুঘণ্টা আগে পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরায় কাউকে ঢুকতে দেখা যায়নি! পুলিশের তরফে এমন দাবি করার পর অভিনেতার অনুরাগী মহলে গুঞ্জন শুরু হয়, হামলাকারী কি বাড়িরই কেউ?
এরই মধ্যে সামনে এল চাঞ্চল্যকর ভিডিও। যাতে অভিযুক্তকে দেখা যাচ্ছে! তাহলে ঘটনার ৫৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশ কেন সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে দেখতে পেল না, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
অন্যদিকে হামলার পর সেই রাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে রাস্তা থেকে অটো ধরে অভিনেতাকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সংবাদ সংস্থার কাছে এ বিষয়ে সেই রাতের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন অটো চালক ভজন সিং। যার জেরে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে কেন রাস্তা থেকে অটো থামিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল অভিনেতাকে?
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অটো চালক ভজন সিং বলেন, "আমি লিঙ্কিন রোড দিয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি (সাইফ আলি খান) যে বিল্ডিংয়ে থাকেন তার নাম সৎগুরু নিবাস। একজন মহিলা চিৎকার করে দৌড়ে এসেছিলেন। বিল্ডিং গেটের কাছে অটো থামাতে বলেন।"
ভজন জানান, অভিনেতার পরনে থাকা জামা রক্তে ভিজে যাচ্ছিল। তার সঙ্গে একটি শিশু এবং এক যুবক ছিলেন। তবে ওই যুবককে দেখে নার্ভাস মনে হয়নি তাঁর।
অটো চালকের কথায়, "বরং এমন রক্তাক্ত মানুষকে দেখে আমি নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর আমি যদি কোনও পুলিশি ঝামেলায় জড়িয়ে যায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর রক্ষীরা এগিয়ে এলে তখন অভিনেতা নিজেই পরিচয় দিয়ে বলেন, আমি সইফআলি খান!"
প্রাণ সংশয়ের পরিস্থিতিতে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে রাস্তা থেকে কেন অভিনেতাকে অটোতে করে হাসপাতালে যেতে হল, কেনই বা সঙ্গে ছিলেন না করিনা, এমনই নানা প্রশ্ন উঠে আসছে অনুরাগীদের মধ্যে থেকে। যদিও ইতিমধ্যে গুঞ্জনে কান না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন সইফের সহধর্মিনী করিনা।
যদিও শুক্রবার রাতে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দাবি করেছেন, চুরির উদ্দেশেই অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, "তদন্তে নেমে পুলিশ অনেক সূত্র পেয়েছে এবং শীঘ্রই মূল অপরাধী গ্রেফতার হবে।"
প্রসঙ্গত, সইফের ওপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার সকালে বান্দ্রা স্টেশন থেকে পুলিশ এক সন্দেহভাজনকে আটক করলেও পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি হামলাকারী নন। স্বভাবতই, পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে অভিনেতা এই মুহূর্তে বিপদমুক্ত বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। আইসিইউ থেকে সরিয়ে আপাতত তাঁকে রাখা হয়েছে জেনারেল কেবিনে।