শেষ আপডেট: 17th October 2024 20:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের সূত্র ধরে সামনে এসেছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেহাল দশা। ইতিমধ্যে নিরাপত্তার হাল ফেরাতে একগুচ্ছ পদক্ষেপও নিয়েছে রাজ্য। এবার এবিষয়ে রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি জানতে চেয়ে অডিট রিপোর্ট চাইল রাজ্য।
রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে রয়েছে বিশেষ অডিট কমিটি। ওই কমিটির তরফেই প্রতিটি জেলার জেলা শাসক ও এসপিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যের কাছে পাঠাতে হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত ১ অক্টোবর থেকে পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল নবান্ন।
সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য গ্রিভ্যান্স সেলও খোলা হয়েছে সেদিন থেকেই। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগ এলে এই সেল সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে।
এতদিন হাসপাতালগুলির রোগী কল্যাণ সমিতির মাথায় থাকতেন জনপ্রতিনিধিরা। আরজি করের ঘটনার পরই পুরনো রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তখনই মমতা জানিয়েছিলেন, এখন থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্য়ান হবেন সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল।
১ অক্টোবর নবান্নের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। সাত সদস্যের ওই কমিটিতে কলেজের অধ্যক্ষর পাশাপাশি থাকবেন কলেজের সুপার, অধ্যক্ষ মনোনীত এক সদস্য, কর্মরত একজন সিনিয়র চিকিৎসক, একজন জুনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন জনপ্রতিনিধি।
বস্তুত, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবিগুলির মধ্যে এটিও একটি অন্যতম দাবি ছিল। সম্প্রতি নবান্নের বৈঠকে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। এবার নিরাপত্তার হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে অডিট রিপোর্ট তলব করল রাজ্য।