শেষ আপডেট: 31st January 2025 14:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যের ছেলেমেয়েরা অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদানে অনেকটাই পিছিয়ে। যে কারণে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে জরুরি কাজের ব্যাপারে জাতীয় মাপকাঠির অনেকটাই নীচে বাংলার পড়ুয়ারা। এক্ষেত্রে মানোন্নয়নের জন্য রাজ্যের প্রায় তিন হাজার স্কুলে স্মার্ট ক্লাসরুম চালু করেছিল রাজ্য।
কিন্তু সেই স্মার্ট ক্লাসরুমে পঠনপাঠন কেমন হচ্ছে? আদৌ কি উপকৃত হচ্ছে পড়ুয়ারা? এ বিষয়ে আগেই স্কুলগুলির কাছে স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। সূত্রের খবর, শুক্রবারের মধ্যে ডিআইদের মাধ্যমে স্কুলগুলিতে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
হঠাৎ কেন এমন নির্দেশ? শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, স্মার্ট ক্লাসরুমের জন্য রাজ্যের দু’হাজার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, ৬৫০টি প্রাথমিক স্কুল এবং ৪১টি সরকারি স্কুলে স্মার্ট বোর্ড, ডিজিটাল লার্নিং কনটেন্ট, প্রোজেক্টর, ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু অধিকাংশ স্কুলেই স্মার্ট ক্লাসরুম সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে শিক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ এসেছে। বহু স্কুলে মাসের পর মাস ধরে স্মার্ট ক্লাসরুম বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে বলে খবর। ফলে কোথাও ধুলো জমে, কোথাও ব্যবহারের অভাবে স্মার্ট ক্লাসরুমের মেশিন পত্র অকেজো হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
সেকারণেই পঠনপাঠনের পাশাপাশি স্মার্ট ক্লাসরুমের স্মার্ট বোর্ড, ডিজিটাল লার্নিং কনটেন্ট, প্রোজেক্টর, ল্যাপটপ কী অবস্থায় রয়েছে তার রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। এখন দেখার স্কুলগুলি থেকে এ বিষয়ে কী রিপোর্ট এসে পৌঁছয়, তার ভিত্তিতে স্কুল শিক্ষা দফতরই বা কী পদক্ষেপ করে।