শেষ আপডেট: 15th April 2025 23:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিল্লির ভয়াবহ বায়ু দূষণ (air pollution) নিয়ে সোমবার উদ্বেগজনক মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। গড়কড়ির কথায়, 'দিল্লিতে যদি তিন দিন থাকেন, তাহলে আপনি কোনও না কোনও সংক্রমণে আক্রান্ত হবেন।' চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে তিনি এও জানান, দিল্লির বিষাক্ত বাতাস একজন মানুষের গড় আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমে যেতে় পারে।
দূষণের দিক থেকে কলকাতাও (Kolkata) যে দিনকে দিন ভয়াবহ হয়ে উঠছে তা প্রকাশ পেল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক সমীক্ষায় (survey)। জানা যাচ্ছে, ‘দ্য এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট’ (টেরি)-কে দিয়ে কলকাতার বাতাসের দূষণের পরীক্ষা করেছিল রাজ্য দূষণ নিযন্ত্রণ পর্ষদ। ওই সমীক্ষা রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, যে হারে কলকাতার বাতাসে দূষণ বাড়ছে তা এখনই কমানো না গেলে আগামীদিনে শহরবাসীর শ্বাসের সমস্যা আরও বাড়বে।
পর্ষদ সূত্রের খবর, ২০২২-২৩ সালের শীতকাল, ২০২৪ সালের গ্রীষ্ম এবং ২০২৩-২৪ সালের শীতকালে কলকাতা পুরসভা এলাকার প্রধান ৬টি জায়গায় বায়ুর গুণমান পরিমাপ করা হয়।
সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিটি এলাকাতেই দূষণের প্রধান কারণ ধুলো। সমীক্ষক সংস্থার দাবি, নির্মাণস্থলে নিয়ম মেনে পর্দা না টানানো, যততত্র আবর্জনা পোড়ানো, ডাম্পিং গ্রাউন্ডের আগুন, বস্তি ও ছোট খাবারের দোকানে কাঠ-কয়লা দিয়ে রান্নার ধোঁয়াও এসবের ফলেই বাতাসে দূষণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এছাড়া যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গাড়ির এবং কলকারখানার ধোঁয়া তো রয়েইছে।
পর্ষদের এক কর্তা বলেন, যেহারে দূষণ বাড়ছে তাতে শুধু নিয়ম করে পরিস্থিতির বদল ঘটানো সম্ভব নয়। প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি চায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত সচেতনতাও। এ ব্যাপারে পুরসভার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও উদ্যোগী হতে হবে।
কীভাবে পরিস্থিতির বদল ঘটতে পারে?
পষর্দের মতে, রাস্তার ধুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রতিটি নির্মাণস্থলে এমনভাবে পর্দা লাগাতে হবে যাতে ধুলো বাইরে না আসে, বর্জ্য না পুড়িয়ে যথাযথ ব্যবস্থা করা এবং বাড়িতে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবহার করা। তাহলেই দূষণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।