শেষ আপডেট: 21st February 2024 19:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি৷’ সীমান্তের কাঁটাতার মুছে আপামর বাঙালির কাছে এই গান প্রাণের গান। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় পুলিশের তপ্ত বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন জব্বার, সালাম, শফিউরের মতো দামাল ছেলেরা। সেদিন বীর শহিদদের রক্তে ভেসে গিয়েছিল রাজপথ। সফিউরদের রক্তের বিনিময়ে অবশেষে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার।
সেদিনের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে যারা শহিদ হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন এপার বাংলার এক কৃতি সন্তান। তাঁর নাম সফিউর রহমান। হুগলি জেলার কোন্নগরের ডিওলডির কাছে জিটি রোডের উপর পৈত্রিক বাড়িতে ১৯১৮ সালের বাইশে জানুয়ারি জন্ম নিয়েছিলেন সফিউর। পড়াশোনা করেছিলেন স্থানীয় কোন্নগর হাইস্কুলে, উচ্চশিক্ষা নেন কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সফিউর রহমানের পরিবার চলে যান পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায়। এরপরের ইতিহাস, বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তাঁর আত্মবলিদান। তবে এত বছরে একুশে ফেব্রুয়ারি তার স্মৃতিতে কোনও অনুষ্ঠান হয়নি কোন্নগরে। বাড়িটি দাঁড়িয়ে রয়েছে জীর্ণ ভগ্ন অবস্থায়। তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা এখনও বাস করেন সেখানে।
স্থানীয় মানুষদের একটাই দাবি, কোন্নগরের এই সুসন্তানের জন্য, তাঁর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য কিছু করা হোক। যিনি মাতৃভাষা বাংলার সম্মান রক্ষার্থে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন, তাঁর একটা স্ট্যাচু অথবা স্মৃতিস্তম্ভ করা হোক। মানুষ জানতে পারবে তাঁর গরিমার কথা। এখানে তাঁর যে পৈতৃক ভিটে রয়েছে সেটি সংস্কার করে তাঁর স্মৃতিতে একটি মিউজিয়াম করারও দাবি জানিয়েছেন কোন্নগরের মানুষ।