শেষ আপডেট: 30th July 2024 12:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন হুগলির খামারগাছির দম্পতি শ্যামাপ্রসাদ হালদার ও অঞ্জনা হালদার। চিকিৎসার জন্য মুম্বই যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনার খবর আসতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন আত্মীয়রা।
তাঁদের বাড়ি হুগলির বলাগড়ের খামারগাছি মুক্তকেশীতলায়। অঞ্জনা হালদার চন্দননগর কমিশনারেটে কর্মরত।
শ্যামাপ্রসাদবাবুর দাদা রামপ্রসাদ হালদার জানান, দুর্ঘটনার পর তাঁকে ফোন করে খবর দেন তাঁর ভাই। আতঙ্কে খুব কান্নাকাটি করছিল অঞ্জনা। তিনি বলেন, "পরপর দুর্ঘটনা ঘটনায় ট্রেনে সফর করাটাই আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।"
শ্যামাপ্রসাদবাবু ফোনে জানান, তখন ভোর সাড়ে তিনটে। হঠাৎ ঝাঁকুনি আর প্রচণ্ড শব্দে ট্রেনের কামরা হেলে পড়ল। তাঁরা বি-২ কামরায় ছিলেন। পিছনের দিকের মোট ১৮ টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। চক্রধরপুরের কাছে ওই লাইনের পাশে আরও একটি লাইন তৈরি হচ্ছে। সেই লাইনের নীচে গভীর খাদ। সেখানে পরে গেলে হতাহতের সংখ্যা বাড়ত। তিনি বলেন, "যতদুর জানতে পারছি মুম্বই এক্সপ্রেস বাঁদিকের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল। ডানদিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সেই মালগাড়ির উপরে প্লাস্টিক ঢাকা ছিল। প্লাস্টিক উড়ে মুম্বই এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনে চলে আসে। কিছু দেখতে না পেয়ে সম্ভবত ব্রেক কষেন চালক।"
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সুস্থ আছেন, এমন যাত্রীদের চক্রধরপুর পর্যন্ত একটি ট্রেনে পৌঁছে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে বলে রেলসূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ চক্রধরপুরের রাজাখারসওয়ান ও বরাবাম্বু রেল স্টেশনের মাঝামাঝি বেলাইন হয় হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের ১৮টি বগি। দুর্ঘটনায় অন্তত দু'জন মারা গেছেন। আরও বহু যাত্রী আহত হয়েছেন বলে খবর। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জানা গেছে, এর আগে বেলাইন হওয়া একটি মালগাড়ির কয়েকটি বগি রেললাইনের ওপরে পড়ে ছিল। ওই বগিগুলির সঙ্গে ধাক্কা লেগেই লাইনচ্যুত হয় ১২৮১০ হাওড়া-ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সিএসএমটি) এক্সপ্রেস বা হাওড়া-মুম্বই মেল ভায়া নাগপুর। অপর একটি সূত্রের খবর, ট্রেনের কামরাগুলি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়ে পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে ধাক্কা মেরেছে।