শেষ আপডেট: 4th April 2024 16:23
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সন্দেশখালি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যের কাছে জমা হওয়া পুরনো ৪২টি মামলার কী অবস্থান তা জানতে চেয়েছে আদালত। এই মর্মে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ইডি ওই মামলার দায়িত্ব নিতে চাইলে এখনই সেই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিতে নারাজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, এক শতাংশ অভিযোগও যদি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলেও সেটা লজ্জার বিষয়।
হাইকোর্টের মন্তব্য, বাংলা মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সন্দেশখালি কাণ্ডে যে যে অভিযোগ করা হয়েছে তার যদি একটিও সত্যি বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে সব দাবি মিথ্যে হয়ে যাবে। একটা অভিযোগ সত্যি হওয়া মানে তা ১০০ শতাংশ লজ্জাজনক বিষয়। গোটা বিষয় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রাজ্য সরকারেরই।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত দায়ের হওয়া এফআইআর ও চার্জশিটের নথি মুখবন্ধ খামে রাজ্যকে জমা দিতে হবে। সেই নথির কপি চেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডিও। এই নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রাজ্য। আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল, ওই সব মামলা আর্থিক দুর্নীতি সম্পর্কিত নয়, তাহলে কেন তথ্য চাইছে ইডি? এর পাল্টা এজেন্সির আইনজীবীর দাবি, আর্থিক দুর্নীতির তদন্তেই নথি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে।
আদালত এদিন জানিয়েছে, রাজ্যের রিপোর্ট জমা পড়ার পর তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে তদন্ত কে করবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির বর্তমান পরিস্থিতি জানতে পেরেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সেই প্রেক্ষিতে এসসিএসটি কমিশন সহ যারা যারা রিপোর্ট দিয়েছে সব রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে আদালত। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
বৃহস্পতিবারই শাহাজাহানের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ছাড়াও তাঁর মাছ ব্যবসা সংক্রান্ত অন্য একটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও শাহজাহানের আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যে নজরে রাখছে ইডি। ইতিমধ্যে শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্য খতিয়ে দেখে প্রায় ১৩৩ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এখনও অন্তত ১৫টি অ্যাকাউন্টের যাবতীয় লেনদেনের ওপর নজর রাখছে তাঁরা।