শেষ আপডেট: 13th August 2024 12:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকর কাণ্ডে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, পুলিশ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, ''রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকায় আমি স্তম্ভিত''।
কলকাতা হাইকোর্টে এই ইস্যুতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, টানা ডিউটি করে ওই নির্যাতিতা বিশ্রাম করছিল। তাঁর ওপর নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। অথচ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। মামলাকারীদের অভিযোগ, রাজ্যের একের পর এক এই ধরনের ঘটনা সরকার ও প্রশাসন ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই প্রেক্ষিতেই আরজিকর প্রসঙ্গে একই প্রশ্ন তুলেছে আদালতও, ''কাকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে প্রশাসন?''।
কলকাতা হাইকোর্ট এও জানতে পেরেছে, ঘটনার পরে মৃতার পরিবারকে প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁরা হাসপাতালে এলে তাঁদের প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়! স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তার ভিত্তিতেই আরজিকরের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘাষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মৃতার পরিবারও চায় আদালতের নজরদারীতে তদন্ত হোক। মঙ্গলবার এই আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত। নির্যাতিতার বাবা-মার বক্তব্য, তদন্ত ঠিকপথে এগোচ্ছে না। অনেক সন্দেহভাজনকে তদন্তের আওতায় আনা হয়নি। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হলে তাঁরা আশ্বস্ত হতে পারবেন। তাঁদের সেই আর্জিকেই মান্যতা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।