শেষ আপডেট: 13th August 2024 15:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের ঘটনা নিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম প্রশাসন তো বটেই রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুলিশ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কাকে বাঁচাতে চেষ্টা করছে প্রশাসন, এই প্রশ্ন ছিল তাঁর। পাশাপাশি কেন হঠাৎ পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছিল তাও জানতে চায় আদালত।
রাজ্য সরকারের কাছে এই ঘটনার কেস ডায়েরি ও তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট চেয়েছিল হাইকোর্ট। তা জমা পড়েছে। হাইকোর্ট জানতে পেরেছিল, ঘটনার পরে মৃতার পরিবারকে প্রথমে আত্মহত্যার কথা বলে খবর দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁরা হাসপাতালে এলে তাঁদের প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়! যদিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাজ্য। তবে ঘটনার দিন কলকাতা পুলিশ যে তদন্ত করেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ আদালতে জানানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মামলা রুজুর বিষয় নিয়ে পুলিশের উদ্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্ন, ''আপনারা কি রাস্তার ধারে মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিলেন যে অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করলেন? কেন প্রিন্সিপাল তৎক্ষণাৎ এসআইআর করেননি? আর আপনারাই তাঁকে পুরস্কৃত করলেন?''
আরজিকরের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘাষকে ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন বাড়িতে বসে থাকবেন সন্দীপ ঘোষ। সেইসঙ্গে, চিকিৎসক-পড়ুয়ারা যে কর্মবিরতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকেও সমর্থন করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে আদালত বলেছে, ''কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। ওই প্রিন্সিপাল কি এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে অন্য কলেজের প্রিন্সিপাল বানিয়ে দেওয়া হল?'' এই পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ''রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় আমি স্তম্ভিত!'' এই ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে এদিন প্রাথমিক প্রশ্নও তোলে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, তাও কেন প্রিন্সিপালের বয়ান রেকর্ড করা হয়নি, তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।