কলকাতা হাইকোর্ট
শেষ আপডেট: 10th January 2025 00:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে ২০০৯ সালে প্রাথমিকে চাকরি পান কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে, বহু চাকরিপ্রার্থী ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে চাকরি পেয়েছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক তদন্ত চলছে রাজ্যে। মামলা-মোকদ্দমায় আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসক দলের একাধিক নেতা বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। বিরোধী দলগুলো এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কথা শোনাতে ছাড়েনি। এখনও সে সব অব্যাহত।
এই আবহে বাম জমানায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড দেখিয়ে প্রাথমিকে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ২০০৯ সালের প্রাথমিকে চাকরি পাওয়া সব শিক্ষকের এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ কার্ড যাচাই করতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী শুনানির দিন রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়েছে।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, কার্ড জালিয়াতি করে চাকরি মামলায় আগামী ২৭ জানুয়ারি সব কার্ড যাচাই করে রিপোর্ট দিতে হবে শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে।
অন্যদিকে, ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় সিআইডির কাছে রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। পরের শুনানিতে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনায় ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬ জনের চাকরি বাতিল হয়। অন্য জেলাগুলিতে ভুয়ো এক্সচেঞ্জ কার্ড ব্যবহার করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। বৃহত্তর জালিয়াতির ইঙ্গিত পেলে সিট গঠন করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি।