শেষ আপডেট: 1 March 2024 10:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রাথমিকের মামলার শুনানিতে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেছেন, ৩৯ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করার জন্য নতুন প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। এই মামলায় ৯,৫৩৩ জনের নিয়োগের একটি প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২২ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সেই স্থগিতাদেশ তুলে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ১২ হাজার প্রার্থীর মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই ৯,৫৩৩ পদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
কিন্তু এর পরই ডিএলএড এবং বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল প্রাথমিক স্কুলে পড়াতে পারবেন শুধুমাত্র ডিএলএড প্রশিক্ষিতরা। কিন্তু তাঁরা বিএড প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেই চাকরির আবেদন করেছিলেন।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টে প্রথমে ১২ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন যাঁরা ডিএলএড, বিএড দু’রকম প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। পরবর্তী সময়ে ডিএলএড প্রশিক্ষিত আরও ৩৯ জনও আলাদা করে মামলা করেন। ১২ জনের জন্য আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। এবার ৩৯ জনের জন্য এল একই নির্দেশ।
১১ হাজার ৭৬৫টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। গত ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষার পরে এই নিয়োগের প্যানেল নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়। মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, ২০২০ সালের আগে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং টেট উত্তীর্ণ ৯ হাজার ৫৩৩ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং তাদের দেওয়া হবে নিয়োগপত্র। সেই অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হয় প্রাথমিকের মেধাতালিকা।