শেষ আপডেট: 30th August 2024 16:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত সরকারি আধিকারিকদের বিষয়ে মুখ্যসচিবের অনুমতি ছাড়া তাঁদের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়, এমনটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই প্রেক্ষিতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কী করা হচ্ছে এতদিন ধরে, এই প্রশ্ন তুলে আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করল আদালত। ফের একবার প্রশ্ন তোলা হল রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার ভূমিকা নিয়ে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্যদের জামিনের শুনানি ছিল শুক্রবার। সেই মামলাতেই বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, কেন এতদিনেও অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ক্ষেত্রে মুখ্যসচিব কনসেন্ট সংক্রান্ত পদক্ষেপ করেননি। বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার যদি ধৃত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেমের ক্ষেত্রে কনসেন্ট না দেয়, তাহলে আদালত বা সিবিআই কিছুই করতে পারে না! আর আদালত নিজে থেকে কনসেন্ট দেওয়ার কথা বলবে না।
নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা দফতরের প্রাক্তন একাধিক পদস্থ কর্তা জেলে রয়েছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সরকারি কর্মীদের গ্রেফতারির বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর তরফ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। এক্ষেত্রে আদালতের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত মুখ্যসচিব বিষয়টি খারিজ করেও অবস্থান স্পষ্ট করছেন না। ফলে এই নিয়ে যে অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য সিবিআইকে বা আদালতকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যদিও আগামী শুনানিতে সিবিআইকে এই ব্যাপারে তাঁদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি এই মামলার।
এদিনের শুনানিতে অবশ্য মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, জামিনের আবেদনকারীদের প্রায় সকলেই সিনিয়র সিটিজেন। এই ব্যাপারটি বিবেচনা কর হোক। কিন্তু আদালতের বক্তব্য, তাঁরা সিনিয়র সিটিজেন আর প্রতারিতরা সকলেই যুব। এটাই দুঃখের বিষয়।
বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবিরেশ ভট্টাচার্য ছাড়াও অশোক সাহা, শান্তি প্রসাদ সিনহা, চন্দন মণ্ডলের মত নিয়োগ কাণ্ডে অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করেছিলেন। ধৃতদের আইনজীবীদের সবাই সিবিআই-এর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁদের যুক্তি, সিবিআই ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে কনসেন্ট পাওয়ার জন্য মুখ্যসচিবের কাছে দরবার করেছিল। কিন্তু তারপরে এতদিন ধরে তারা কী পদক্ষেপ করেছে কেউ জানে না। তবে মামলাকারী আইনজীবীদের কাছে আদালতের পাল্টা প্রশ্ন, শুধু সিবিআই-এর অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলছেন না কেন?