শেষ আপডেট: 17th October 2024 15:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর থেকে এক তরুণীর অর্ধনগ্ন, অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। ইতিমধ্যে মৃত তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত যুবকের মায়ের দাবি তাঁর ছেলে নির্দোষ। যদিও নির্যাতিতার তরুণীর মায়ের দাবি, মিথ্যে বলছেন তিনি।
মঙ্গলবার গোটা দিন অভিযুক্ত যুবক ঠিক কী কী করেছেন সেই বিবরণ দিয়েছেন তাঁর মা। তিনি বলছেন, ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৬টায় ফিরেও আসেন। এমনকি ছেলে মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। এর পর সামান্য কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।
মহিলার আরও দাবি, রাত ৮টা নাগাদ তরুণীর মায়ের ফোন আসে তাঁর ছেলের মোবাইলে। তরুণীর মাকে পরে ফোন করার কথা বলেন ছেলে। তিনি আরও বলেন, রাত ১০টা নাগাদ তরুণীর মা আবার ফোন করেন। তাতে ঘুম ভাঙে তাঁর ছেলের। তখন ছেলে তরুণীর মাকে ফোন করেন। ফোনে কথা বলার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ঘণ্টাখানেক পর বাড়ি ফিরে এসে শুতে চলে যান।
যদিও নির্যাতিতা তরুণীর মায়ের বক্তব্য সবটাই মিথ্যে। তাঁর অভিযোগ ছিল 'সাড়ে সাতটা নাগাদ ছেলেটার সঙ্গে পিৎজা খেতে বেরিয়েছিল মেয়ে। বাড়িতে আমায় জানিয়ে গিয়েছিল। তারপর আর ফোন করেনি। আমি ছেলেটাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি। তখন একবার বলছে ও নাকি ঘুমোচ্ছে। একবার আমায় গালিগালাজ করছে। সারারাত আমার বাবা আমার গোটা পরিবার ওকে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু মেয়েকে কোথাও পাইনি। আমি জোর করে ছেলেটাকে থানায় নিয়ে এসেছি।' তিনি আরও বলেন, 'প্রথমে সম্পর্ক নিয়ে বিবাদ থাকলেও পরে মিটিয়ে নিয়েছিলাম। ওদের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। পুজোর সময় থেকেই মেয়ে বেরচ্ছিল ওই ছেলেটার সঙ্গে।'
সদ্য পাওয়া খবর, এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন, ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি স্পেশ্যাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করবে সিআইডি-ও। মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনই তাঁরা বলতে পারবেন না বলেও জানান। ম্যাজিসট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হচ্ছে ইতিমধ্যেই। ওই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ছাত্রী খুনের ঘটনায় বিস্তারিত বলা যাবে।