শেষ আপডেট: 28th August 2020 02:22
সমস্যা তো বটেই, বহু মানুষের জীবনেরও ঝুঁকি! নিট-জয়েন্ট স্থগিতের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি হেমন্ত সোরেনের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ককে চিঠি লিখলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। জানালেন, এই করোনা সংক্রমণের মধ্যে এত বড় পরীক্ষা সারা দেশের জন্য ঝুঁকি। হেমন্ত সোরেন এ-ও উল্লেখ করেন, রাজ্যগুলিতে এখনও গণপরিবহণ চলছে না। ফলে পরীক্ষার্থীদের চলাফেরার একটা বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। সাতটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক করে জয়েন্ট ও নিট পরীক্ষা পিছোনোর দাবি ওঠার একদিন পরেই এই চিঠি লিখলেন হেমন্ত সোরেন। সুপ্রিম কোর্ট পরীক্ষা নেওয়ার যে অনুমতি দিয়েছে, সেই নির্দেশ আরও একবার রিভিউ করার আর্জি জানানো হবে বলেও ঠিক হয় মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে। হেমন্ত সোরেনও ছিলেন সেদিনের বৈঠকে। এর পরেই আলাদা করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে, সে চিঠির কপি টুইটারে আপলোডও করেন হেমন্ত সোরেন। তিনি লিখেছেন, "প্রতিটি পরীক্ষার্থীর জীবনে এ দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা, তাঁরা এই পরীক্ষায় সবচেয়ে ভাল করার চেষ্টা করেন। তাই এটা খুবই জরুরি, যে পরীক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ ভাবে, সুস্থ ভাবে, মানসিক শান্তির সঙ্গে এই পরীক্ষা দিতে পারে।" https://twitter.com/HemantSorenJMM/status/1299008853212663808 তিনি আরও লেখেন, "আমাদের দেশের মানুষ এখন এক বিশাল মহামারীর সঙ্গে লড়াই করছে। কোভিড ১৯ লক্ষ লক্ষ মানুষকে সংক্রামিত করেছে, কয়েক হাজার মৃত্যু ঘটিয়েছে। শারীরিক ভাবে আক্রান্ত হওয়ার বিপদ যেমন আছে, তেমনই দেশজুড়ে অর্থনৈতিক সঙ্কটও প্রবল হয়েছে। এটা সকলের জন্যই মানসিক উদ্বেগের কারণ।" তাছাড়া এত বড় পরীক্ষার জন্য বড় পরিকাঠামো, পরিষেবা, পরিবহণ সবই দরকার বলে মত হেমন্তর, যা এই সময়ে দেওয়া মুশকিল। "কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ঝাড়খণ্ড সরকার এখনও গণপরিবহণ শুরু করেনি চালাতে। হোটেল, রেস্তরাঁ খোলার অনুমোদনও নেই। এর ফলে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়ার মারাত্মক সমস্যা হবে।" পাশাপাশি তিনি জানান, যেসব পরীক্ষার্থীর বাড়ি কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে, তাঁদের পক্ষেও সমস্যাজনক হবে পরীক্ষা দিতে যাওয়া। এমনও অনেক পরীক্ষার্থী আছেন, যাঁদের বাড়িতে কোভিড রোগী আছেন বা তাঁরা নিজেরাই ভুগেছেন কোভিডে। "একজন পরীক্ষার্থী সংক্রামিত কিনা, তা বোঝাও সবসময় সম্ভব না হতে পারে। রোখা তো আরই সম্ভব নয়। এর ফলে কোনও কেন্দ্রের সমস্ত পরীক্ষার্থী ও ইনভিজিলেটর আক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাঁদের মধ্যে আবার কার কী কোমর্বিডিটি আছে তাও বোঝা সম্ভব নয়। ফলে এ তো জীবনের ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে!" সবশেষে হেমন্ত সোরেন লেখেন, "উপরের সব ক'টি কারণ বিবেচনা করে আমি আপনার কাছে আন্তরিক আবেদন রাখছি, মানুষের স্বার্থেই এই দুটি পরীক্ষা স্থগিত করা হোক এখন।"