শেষ আপডেট: 25th October 2024 09:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র। বাংলা-ওড়িশা উপকূলে প্রায় ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে হাওয়া চলছে। কলকাতা সহ একাধিক জেলায় হাওয়ার গতি এত বেশি না হলেও সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে 'দানা'র জেরে। তার কারণে বহু জায়গায় জমেছে জল, ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছও। রাস্তা সাফ করতে সকাল থেকেই কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
'দানা'র প্রভাব বাংলায় যে মারাত্মক পড়েছে এমনটা নয়। কিন্তু তার জেরে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে শুক্রবার সকাল থেকে তাতে একাধিক এলাকা ইতিমধ্যে জলমগ্ন। বেহালা থেকে শুরু করে বালিগঞ্জ, কসবা সহ দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকা জলমগ্ন। সকাল থেকে রাস্তায় খুব বেশি দেখা মিলছে না বাস-অটোর। এদিকে, অনেক জায়গায় ঝড়ের কারণে গাছও ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ধরনের ছবি দেখা গেছে। বিশেষ করে সাগরের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল রাতে বড় বড় গাছ রাস্তার ওপরে ভেঙে পড়েছে।
আশঙ্কা যেমন করা হচ্ছে, বাংলার উপকূলবর্তী এলাকা তথা গঙ্গাসাগর এলাকায় 'দানা'র তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। এমনটাই বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসন ও উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের শঙ্কা ছিল, আমফান বা ইয়াসের মতো এবারও তছনছ হবে সবকিছু। কিন্তু তেমন বড় ক্ষয়ক্ষতি এখনও হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। যে বিষয়টি স্বস্তি দিয়েছে সকলকেই।
শুধুমাত্র গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা থেকে গেছে। তার সঙ্গে হালকা ঝড়ও হচ্ছে। ইতিমধ্যে নামখানা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে পড়েছে গাছ, বিপর্যয় মোকাবেলার টিম গাছ কাটা রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাতে লাগিয়েছে।
ঝড়ের কারণে দিঘায় বেড়েছে জলস্তর। গার্ডওয়াল ছাপিয়ে জল উঠে এসেছে রাস্তায়। টানা বৃষ্টির দেখা মিলছে। মন্দারমণির অবস্থাও একইরকম। অন্যদিকে, বকখালিতেও বাড়ছে ঝড়ের দাপট। শুক্রবার সারাদিন ধরেই হালকা ঝড় এবং বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে কলকাতা সহ হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টির লাল সতর্কতা।